রূপনারায়নপুরে চুরির ঘটনায় সাফল্য গ্রেফতার দুই দুষ্কৃতি
বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র :- বিগত বেশ কয়েকদিন আগে রূপনারায়নপুরের শান্তশ্রী পল্লীতে অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডেন্ট সতীশ চন্দ্র শর্মার বাড়িতে চুরির ঘটনায় এলাকার মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এরপরেই সালানপুর থানা ও রূপনারায়নপুর ফাঁড়ির পুলিশ
তদন্তে নেমে অবশেষে দুই দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করেছে তবে এখনো বেশ কিছু দুষ্কৃতি নাগালের বাইরে আছে বলে পুলিশ মহল মনে করছেন ।পুলিশ দিন রাত এক করে অভিযান চালিয়ে যে দুইজন দুষ্কৃতিকে আটক করেছে তাদের নাম হল বিকি বাউরি (২০) ও রবিন বাউরি (২৭), যারা রূপনারায়নপুর ও চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দা।




প্রসঙ্গত গত ২১ জুলাই, রূপনারায়নপুরের শান্তশ্রী পল্লীতে অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডেন্ট সতীশ চন্দ্র শর্মা তার পরিবার এর সাথে অমরনাথ ভ্রমণে গেছিলেন সেই সময় চোরেরা তালা ভেঙে ১০ ভরি সোনার গয়না ও ১.৮ লক্ষ টাকা লুট করে চম্পট দেই ।এর পর ২৭ জুলাই ফিরে এলোমেলো ঘর ও ভাঙা তালা দেখে পরিবার স্তম্ভিত হয়। এই ঘটনা এলাকাবাসীর মনে নিরাপত্তাহীনতার ছায়া ফেলেছিল। তবে কলকাতা ফরেনসিক দল ও সালানপুর থানা ও রুপনারপুর ফারির পুলিশ ওই চোরেদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে।
গোপন সূত্র ও সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে তাদের চিহ্নিত করা হয়। ধৃত বিকি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, তারা এলাকায় একাধিক বাড়িতে চুরি করেছে। উল্লেখ্য, বিকি এর আগেও চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিল। পুলিশের দৃঢ়তা এই তদন্তে উল্লেখযোগ্য। ঘটনার পর থেকে তারা সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি অভিযানে নিরলস কাজ করে চলেছে। ফরেনসিক দল ও কলকাতার সিআইডি ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ ও ভিডিওগ্রাফি করেছে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র সরবরাহ করেছে। আজ আসানসোল আদালতে ধৃতদের পেশ করে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে, যাদের ধরতে তল্লাশি অব্যাহত। এই গ্রেফতার এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি ফিরিয়েছে। যারা সকলের সামনে নির্দ্বিধায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল, তাদের কোনো সন্দেহের আবরণে ঢাকা ছিল না।পুলিশের তৎপরতা এই অপরাধীদের মুখোশ খুলে দিয়েছে, যা এলাকার নিরাপত্তার প্রতি আস্থা জোরদার করেছে।
স্থানীয়রা পুলিশের এই নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করছেন। তবে, তারা আরও টহল ও রাস্তার আলোর ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনা শুধু একটি চুরির রহস্য উন্মোচন নয়, বরং অন্যান্য অমীমাংসিত চুরির ঘটনাগুলোর তদন্তে নতুন দিশা দেবে বলে আশা। পুলিশের এই দায়িত্বশীল ভূমিকা এলাকাবাসীর মনে ভবিষ্যৎ অপরাধ রোধের প্রত্যাশা জাগিয়েছে। তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও দৃঢ়তা অপরাধীদের নাগালে আনতে সফল হয়েছে, যা জনগণের সাধুবাদ কুড়িয়েছে। এই তদন্ত কেবল নিরাপত্তা নিশ্চিত করেনি, বরং পুলিশের প্রতি জনগণের ভরসাকে আরও মজবুত করেছে।