রানিগঞ্জে বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রীর পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
বেঙ্গল মিরর, রানিগঞ্জ ও আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* দুদিন ধরে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিলো না। শেষ বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে গলায় দড়ি দেওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ছাত্রীর পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হলো। শনিবার রাতের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জ থানার ইস্ট কলেজ পাড়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত ছাত্রীর নাম জ্যোতি কুমারী (২৩)। রবিবার দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে কলেজ ছাত্রীর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জ্যোতি কুমারী রানিগঞ্জের ইস্ট কলেজ পাড়ায় মামার বাড়িতে থাকতো। তার আসল বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে।




সে আসানসোলে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে বিটেক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলো। গত ৭ আগষ্ট মামার বাড়ির লোকেরা দিল্লিতে যান। সেই কারণে জ্যোতি বাড়িতে একাই ছিলো। মামার বাড়ির লোকেরা দিল্লিতে পৌঁছানোর পর থেকে তারা জ্যোতিকে ফোন করছিলেন। কিন্তু, জ্যোতি ফোন না ধরায়, তারা তার কোন খবর পাচ্ছিলেন। যে কারণে তারা চিন্তিত হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত তারা জ্যোতির খবর নিতে দিল্লি থেকে এলাকার বাসিন্দা প্রতিবেশীদের ফোন করেন। এরপর প্রতিবেশীরা দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ রয়েছে। তারা রানিগঞ্জ থানায় খবর দেন। সেই মতো শনিবার রাত নটা নাগাদ পুলিশ জ্যোতির মামার বাড়িতে আসে।
খবর পেয়ে এলাকায় আসেন আসানসোল পুরনিগমের ৮৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নেহা সাউ। এরপর বাড়ির বন্ধ দরজা ভাঙা হয়। তারপর পুলিশ ঘরের ভেতরে ঢোকে। খোঁজাখুঁজি করতে পুলিশ বাড়ির দ্বোতলায় যায়। এরপরই দ্বোতলায় যে ঘরের জ্যোতি থাকতো, সেই ঘরের ভেতর থেকে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। দেহটিতে পচন ধরে গেছিলো। গোটা বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে দিল্লিতে থাকা মামার বাড়ির সদস্যদেরকে জানানো হয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, জ্যোতি কুমারীর মামার বাড়ির লোকেরা দুদিন আগে দিল্লিতে যান। যে কারণে ঐ কলেজ ছাত্রী বাড়িতে একাই ছিলো। শনিবার রাতে তার ঘর থেকেই গলায় দড়ি দেওয়া পচাগলা ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুইসাইড নোট জাতীয় কোনকিছুই পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরা আসার পরে রবিবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরিবারের তরফে কোন অভিযোগ করা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, কোন কারণে ঐ ছাত্রী মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। যে কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।