ASANSOL

আসানসোল ইন্সটিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট পলিটেকনিক ১৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালনে নানা অনুষ্ঠান

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* আসানসোল ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট পলিটেকনিকের ১৩তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার আসানসোলের ১৯ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া বকবাঁধি এলাকায় কলেজ ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একটি রক্তদান শিবিরেরও আয়োজন করা হয়েছিলো। এর পাশাপাশি কলেজের বিভিন্ন বিভাগে ভালো পারফর্মেন্স করা পড়ুয়াদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ছাড়াও টেকনিক্যাল ম্যাগাজিন এবং নিউজ লেটার ২০২৫ প্রকাশ করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সৌম্যমানন্দ জি মহারাজ, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা তথা ডিরেক্টর হরিনারায়ণ মিশ্র, অধ্যক্ষ ডঃ লিসা মিশ্র, প্রবীর ধর, সি আর রাউত ও তন্ময় সিংহ উপস্থিত ছিলেন। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। তার আগে, সকল আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মানিত করা হয় এবং তাদেরকে উত্তরীয় পরানো হয়। এই উপলক্ষে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়।এই অনুষ্ঠানে স্বামী সৌম্যমানন্দ জি মহারাজ বলেন, এই অঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়নে হরিনারায়ণ মিশ্র এবং তার স্ত্রী ডঃ লিসা মিশ্র যে ভূমিকা পালন করেছেন তা, ভালো করে প্রশংসা করলেও কম বলা হবে।

তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এই দুজনের প্রচেষ্টার ফলে আসানসোলের নাম সমগ্র বাংলায় বিখ্যাত হয়ে উঠেছে। উচ্চশিক্ষার জন্য যুবকদের বাইরে যেতে হয় না এবং তারা ঘরে বসেই মানব জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, শিক্ষা অর্জন করতে সক্ষম হয়। এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যে এই দুজন এভাবেই এগিয়ে যান যাতে এই অঞ্চলের উন্নয়ন হয় এবং যুবকরা আরও ভালো সুযোগ-সুবিধা পান। এদিনের সম্পর্কে হরিনারায়ণ মিশ্র বলেন, ১৩ বছর আগে যখন আমি এই কলেজ প্রতিষ্ঠা করি, তখন আমার স্ত্রী ড. লিসা মিশ্রের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলাম। এর পরে, একটি দল গঠন করা হয়েছিল যারা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিল। এর ফলাফল হল হাজার হাজার যুবক কলেজে পড়াশোনা করছে এবং বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে।

এখানে পড়াশোনা করার পর, শিক্ষার্থীরা ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড, টাটা পাওয়ার, জেএসডব্লিউ, উইপ্রো, রিলায়েন্স, টাটা কনসালটেন্সি ইত্যাদির মতো বড় বহুজাতিক কোম্পানিতে কাজ করছে। এটি কেবল এই কারণেই সম্ভব হয়েছে যে তার পরিশ্রমী। শিশুদের সর্বাত্মক বিকাশের দিকে মনোযোগ দেয় এবং শিক্ষার মানের সাথে আপস করে না। তিনি বলেন, অন্যান্য কলেজে পড়ুয়ারা প্রতিবাদ করে বলে যে এখানে পড়াশোনা হয়না বা পর্যাপ্ত পড়াশোনার পরিকাঠামো নেই। কিন্তু এখানে এমন কিছুই নেই। এখানে শিক্ষকরা সময় মতো পড়ুয়াদেরকে পড়ান। তাদের সিলেবাস সময় মতো শেষ হয়। শিক্ষার মানও এমন যে পড়ুয়াদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত তৈরিতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হয় না।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *