ASANSOL

ঝড় জল বৃষ্টির মধ্যে দণ্ডী কেটে কেদারনাথের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন বাকুড়ার বাবন

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র -কঠিন কঠোর সেই ব্রত। পায়ে হেঁটে নয়, দণ্ডী কেটেই বাঁকুড়ার পাটপুর থেকে কেদারনাথের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন এই যুবক । প্রায় দু- হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সময় লাগবে তিন – বছর। এমনটাই জানালেন এই যুবক। জানা যায় বাকুড়া জেলার পাটপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর 38 এর যুবক বাবন কোরা ।পরিবার পরিজন ছেড়ে একদম একা এই পথ পাড়ি দিয়েছেন। সঙ্গী মাত্র একটি ব্যাগ আর সেই ব্যাগের সঙ্গে ঝুলছে জাতীয় পতাকা আর বাবা ভোলানাথের ছবি আঁকা ধ্বজা।

জানাযায় বাবন কোড়া বাবা ভোলানাথ এর কাছে মনস্কামনা করেছিলেন তার মনস্কামনা পূর্ণ হতেই তিনি কেদারনাথের বাবা ভোলানাথের কাছে দন্ডি কেটে বাবার মন্দিরে পৌঁছে পুজো দেবেন। সেইমত তিনি গত মাসের 24/07/25 তারিখ এলাকার নিজের বাড়ি থেকে দন্ডি কেটে যাত্রা শুরু করলেন কেদারনাথের উদ্দেশ্যে।এদিন বাবন কোরা যখন আসানসোল নর্থ থানার কন্যাপুর ফাঁড়ির চন্দ্রচূড় মন্দির বাইপাস এর ধানবাদ গামী লেনে দণ্ডি কেঁটে একটু একটু করে কেদারনাথের উদ্দেশ্য এগিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখন আমাদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই বিরল দৃশ্য। একদিকে বৃষ্টি পড়ছে আর সেই বৃষ্টির মধ্যে ব্যস্ত রাস্তার পাশ ধরে একটু একটু এগিয়ে যাচ্ছেন শম্ভু।

আর এই দৃশ্য দেখে পথ চলতি সাধারণ মানুষ ভিড় করলেন রাস্তার দু’পাশে কেউ কেউ এগিয়ে এসে শম্ভুর পায় হাত দিয়ে প্রণাম করলেন আবার কেউ কেউ এগিয়ে এসে শম্ভুকে আর্থিক সহযোগিতাও করলেন।বাবন কোরা জানান তার পরিবারে দুই পুত্র স্ত্রী ও মা বাবা কে ছেড়ে তিন বছর কঠোর পরিশ্রম করে তবেই পৌঁছাবেন কেদারনাথে।তবে বাঁকুড়া থেকে আসানসোল পৌঁছাতে তার 23 দিন সময় লাগে।তবে শনিবার সকালে বাবা চন্দ্রঁচুর মন্দিরে পূজা দিয়ে আবার কেদারনাথ এর পথে যাত্রা শুরু করেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *