ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীকে হত্যা ?
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : রুম নাম্বার ২ এ মহিলার দেহ এলাকায় চাঞ্চল্য। ভাড়া বাড়িতে স্ত্রীকে হত্যা করে ভাড়াটিয়ার ভাড়া মিটিয়ে ছেলেকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হলো জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির বাসিন্দা বৈদ্যনাথ পাত্র। জানা যায় দীর্ঘ প্রায় দু বছর ধরে জামুড়িয়ার স্যামসেল কারখানায় কর্মরত ওই ব্যক্তি হিজল গড়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। অন্য মাসের মত এই মাসে ও 15 তারিখ সে তার বাড়ি ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সাইকেলে করে বেরিয়ে যায়।




সঙ্গে স্ত্রীকে কেন নিয়ে গেল না এ বিষয়টি নজরে আসতেই বাড়ি মালিকের মনে খটকা হওয়ায় বিকেলে জামুরিয়া থানার কেন্দা ফাঁড়িতে ভাড়াটিয়া প্রসঙ্গে অভিযোগ জানালে কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজার তালা ভেঙে খাটের নিচে রাখা চাদর ঢাকা অবস্থায় বৈদ্যনাথ পাত্র স্ত্রী রেনুকা দাস কে খুঁজে পায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ও স্থানীয়দের অনুমান ওই মহিলাকে হত্যা করে এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছে বৈদ্যনাথ।
জানা যায় মৃত ওই মহিলা বছর ২২ এর রেনুকা দাস দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানায় এলাকার নন্দকুমারপুর এর বাসিন্দা। জানা গেছে জামুড়িয়ার বাসিন্দা এই বৈদ্যনাথের সঙ্গে তার প্রনয়ের সম্পর্কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন প্রায়শই তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলার লেগেই রইল, তাদের অনুমান হয়তো তেমনি কোনো কারণে স্ত্রীকে হত্যা করে এক বছরের ছেলেকে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছে বৈদ্যনাথ। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতে থেকেই সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কি কারনে এই ঘটনা ঘটনাটি হত্যা না অন্য কিছু সে সকল বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।