পাঞ্চেত ও মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ালো ডিভিআরআরসি, দক্ষিণবঙ্গে নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। সেই বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। এর মধ্যে ঝাড়খণ্ডে গত তিনদিন ধরে টানা বৃষ্টি হওয়ায় পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধার থেকে রবিবার সকাল থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটাই বাড়ালো ডিভিআরসিসি। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচটি জেলার দামোদর সংলগ্ন এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।




রবিবার সকালে ডিভিআরআরসি মেম্বার সেক্রেটারি সঞ্জীব কুমারের সাক্ষরিত একটি ম্যাসেজ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তেনুঘাট ও কোনার রিজার্ভার থেকে জল ছাড়ার ( আউটফ্লো) পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। সেই জন্য রবিবার সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিট থেকে মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে সবমিলিয়ে ৫৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে। তারমধ্যে মাইথন থেকে ১২ ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৪৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। পরে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে ঐ ম্যাসেজে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ, শনিবার পাঞ্চেত ও মাইথন থেকে সবমিলিয়ে ৪৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিলো। তারমধ্যে পাঞ্চেত থেকে ২৭ ও মাইথন থেকে ১৭ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিলো। রবিবার ডিভিআরআরসি সূত্রে জানা গেছে, এই মুহুর্তে মাইথনের জলস্তর ৪৭৭ ও পাঞ্চেতে জলস্তর রয়েছে ৪১০ একর ফুটে। জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডে গত কয়েক দিন বৃষ্টি কম হওয়ায় তেনুঘাট জলাধার থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হয়েছিলো। যে কারণে ডিভিআরআরসি পাঞ্চেত ও মাইথন থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ কমেছিলো।
শনিবার তেনুঘাট থেকে ১৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। কিন্তু রবিবার সকাল থেকে তা একবারে তিনগুণ বাড়িয়ে ৫৪ হাজার কিউসেক করা হয়েছে। যে কারণে পাঞ্চেত জলাধারে চাপ বাড়ে। এদিকে, রবিবার আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে রবিবার রাত ও সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। তার কারণ বঙ্গোপসাগরে নতুন করে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে।স্বাভাবিক ভাবেই, একদিকে মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো ও অন্যদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোর পরিস্থিতি খারাপ হবে।