আসানসোলে রেলের জমিতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ ঘিরে উত্তেজনা, বাধা দেওয়ার অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোল বাজার এলাকার জিটি রোডে ইস্টার্ন রেলওয়ে স্কুলের সামনে রেলের জমিতে থাকা দোকানদারদের দোকান উচ্ছেদ করাকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ছিলেন পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের আধিকারিক ও আরপিএফ জওয়ানরা। সেই খবর পেয়ে এলাকায় আসেন আইএনটিটিইউসি নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া এবং পিন্টু গুপ্ত। রাজু রেল আধিকারিক ও আরপিএফের অফিসারদের কাছে দখল উচ্ছেদ নিয়ে প্রশ্ন করেন। রেল আধিকারিকরা তাকে জানান, এই জমি রেলের। সেই কারণেই এই অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এই নিয়ে রাজু আলুওয়ালিয়া ও পিন্টু গুপ্তর সঙ্গে রেলের আধিকারিক ও আরপিএফ অফিসারদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। রেল আধিকারিকরা জানান, তারা নির্দেশ পেয়েছেন এবং তাই তারা দখল উচ্ছেদ করতে এসেছেন।
এই বিষয়ে রাজু আলুওয়ালিয়া রেল আধিকারিকদের স্পষ্টভাবে বলেন, আমি আপনাদের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলবেন। দোকানের কাগজপত্র দেখা হবে। তবেই তারা উচ্ছেদ করা যাবে।




এই সম্পর্কে সাংবাদিকদের রাজু আলুওয়ালিয়া বলেন, এদিন রেল আধিকারিকরা দোকান অপসারণ করতে এসেছিলেন। কিন্তু তাদেরকে দোকান অপসারণ করতে দেওয়া হয়নি। কারণ এখানে বেশিরভাগ গরীব মানুষেরা দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করেন। রেল এই গরীব মানুষদের পেটে লাথি মারছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রের শাসক এদেরকে মেরে ফেলতে চায়। যেখানে পুঁজিপতিদের রেলের তরফে জমি অপ্রতুল দামে লিজ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মা মাটি মানুষ সরকার চলছে। শ্রমিক নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক এখানে আছেন। তাই এখানকার কোনও গরীব মানুষদের প্রতি কোনও অবিচার হতে দেওয়া হবে না। রাজু আলুওয়ালিয়া দাবি করে বলেন, এদিন এখানকার দোকানদারদের সম্মিলিত বাধার ফলে রেল আধিকারিকরা দোকান উচ্ছেদ না করে, চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
এই ব্যাপারে, রেলের তরফে বলা হয়েছে, ঐ এলাকায় ঠিক কি হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরো বলা হয়েছে, রেলের কোন জমি কেউ অবৈধভাবে দখল করে রাখতে পারে না। রেল বোর্ডের নির্দেশ মতো সব জমি দখল মুক্ত করা হবে।