সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে পৌঁছালেও তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে দেওয়া হচ্ছিল না অভিযোগ, বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : খনি অঞ্চলে সিপিএমের একমাত্র পঞ্চায়েত প্রধানের কার্যালয় ঘিরে ধরে পক্ষপাতিত্ব করে জল দেওয়া হচ্ছে, এই দাবি তুলে বিক্ষোভ তৃণমূলের। মঙ্গলবার এমনই বিষয় লক্ষ্য করা গেছে রানীগঞ্জের আমড়াসোতা গ্রাম পঞ্চায়েতে। তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন অংশে থাকা সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ করা হলেও, তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে পানীয় জল দেওয়া হচ্ছে না, এর জেরে চরম সংকটে পড়েছে এলাকার অসংখ্য পরিবার।




মঙ্গলবার এই দাবি করেই তারা পঞ্চায়েত কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীদের দাবি কালা ঝরিয়া জল প্রকল্পের মাধ্যমে বিস্তীর্ণ অংশে পূর্বে জল দেওয়া হলেও, ইদানিং এই প্রকল্পটি ভেঙে পড়ায় জল সরবরাহের কাজ চলছিল ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে, অভিযোগ এই ট্যাঙ্কারের জল সিপিএম সমর্থকদের বাড়িতে পৌঁছালেও তৃণমূল সমর্থকদের বাড়িতে দেওয়া হচ্ছিল না। এমনই অভিযোগ করে বিক্ষোভ দেখালে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডাতে জড়িয়ে পড়ে এলাকার বেশ কিছু স্থানীয় বাসিন্দা, আর এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
যদিও পরে পঞ্চায়েত প্রধান পরিস্থিতি সামাল দেয়। এ বিষয়ে তৃণমূল জল দেওয়ার জন্য পক্ষপাতীত্বের অভিযোগ করলেও পঞ্চায়েত প্রধান সেই অভিযোগ খারিজ করেছে, পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জয় হেমব্রম দাবি করেছেন, সমগ্র এলাকায় পিএইচির মাধ্যমে জল সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তবে রাজ্য সরকারের তরফে বড় কোন ট্যাংকার না দেওয়ায় ছোট ট্যাংকারের মাধ্যমে জল সরবরাহ করা হচ্ছে, যার ফলে কম পরিমাণ জল এসে পৌঁছছে এলাকায় যা সকলকেই সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না, তবে কোন বাচ বিচার করে রাজনৈতিক দল দেখে জল দেওয়া হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দাবী করেন তৃণমূলের করা অভিযোগ সর্বই মিথ্যে তারা সকল পরিবারকে যাতে পর্যাপ্ত জল দেওয়া যায় তার জন্য পিএইচই দপ্তরকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জল দিতে বলেছেন, তবে সে উদ্যোগ কতটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব তা অবশ্য এই দপ্তরে সদস্যরাই জানাতে পারবে। প্রধান দাবি করেছেন সকল পরিবারগুলিতে যাতে পর্যাপ্ত জল দেওয়া হয় তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক পিএইচই দপ্তর। এদিনের এই বিক্ষোভ আন্দোলন কে নেতৃত্ব দিতে হাজির থাকতে দেখা যায় জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক সম্পাদক যীশু মন্ডলকে।