আসানসোলের বাজারে আগুন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা, প্রশ্নের মুখে পুরনিগমের ভূমিকা
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ আসানসোলের জিটি রোডের বস্তিন বাজারের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বুধবার এই ঘটনার জেরে বাজার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়ে আসানসোল পুরনিগমের চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এলাকার মানুষেরা আসানসোল দমকল বিভাগকে খবর দেন। দমকল বাহিনীর কর্মীরা একটি ইঞ্জিন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিদ্যুৎ দপ্তরে খবর দেওয়া হলে, ঐ বাজার এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। যদিও লোকজনদের অভিযোগ যে, দমকল বাহিনীর কর্মীরা সময়মতো পৌঁছেছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনো সেখানে পৌঁছাতে দেরি করেছেন।




এই প্রসঙ্গে অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দমকল বাহিনীর দ্রুত পক্ষেপের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা সময়মতো কাজ করেছেন। তবে তিনি বলেন, এই বাজার এলাকার মানুষদেরকে বুঝতে হবে যে টাকাই সবকিছু নয়। নিরাপত্তার দিকটাও মাথায় রেখে ব্যবসা করতে হবে। যাতে আগুন লাগলে দমকল বাহিনীর কর্মীরা সময়মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেন। তা, না হলে, কারোর কিছু করার থাকবে না।
অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা শাহ আলম বলেন, যদি সমস্ত কাজ জনসাধারণকে করতে হয়, তাহলে পুরনিগমে মেয়র, চেয়ারম্যান সহ বাকিদের কি প্রয়োজন। তিনি বলেন, একদিকে আসানসোল পুরনিগম আসানসোল শহরকে সুন্দর করার, দখল মুক্ত করার, যানজট থেকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলে। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসেরর আরেকটি অংশ এই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এমন পরিস্থিতিতে আসানসোলের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।উল্লেখ্য, গোটা আসানসোল বাজারটি কার্যত জতুগৃহে পরিণত হয়েছে। বাজারের ফুটপাত থেকে ছোট বড় সব ধরনের গলি ও রাস্তা অবৈধ দোকানদারেরা দখল করে নিয়েছেন। ছোট গাড়ি ঢোকাতো দূরের কথা, পথচারীরা ঠিক মতো হাঁটাচলা করতে পারেন না বাজারের মধ্যে দিয়ে।এদিন বস্তিন বাজারের যে অংশে আগুন লাগে, সেই জায়গাটি জনবহুল, ব্যস্ততম ও ভিড়ে ঠাসা। বৈদ্যুতিক খুঁটির আগুন কোনভাবে ছড়িয়ে পড়লে, বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারতো। কিন্তু দমকলকর্মীদের তৎপরতায় তা হয়নি।