রানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পিতলের রথ কে নিয়েই এবার চলছে টানাটানি
পথ ভাবে আমি দেব, রথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব, হাসেন অন্তর্যামী
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : পথ ভাবে আমি দেব, রথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব, হাসেন অন্তর্যামী। এবার রথের মেলা নিয়ে এমনই বিষয় লক্ষ্য করা গেল খনি অঞ্চল রানীগঞ্জে। রানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পিতলের রথ কে নিয়েই এবার চলছে টানাটানি। আর এই রথের জমি কার, এই জমিতে কারাইবা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে, কি বা তাদের অনুমোদন রয়েছে, এই সকল নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা।













রানীগঞ্জের অন্য সব এলাকার সাথে এই সিয়ারশোল রাজবাড়ী এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ, এর চারপাশেই অসংখ্য বাসিন্দারা বসবাস শুরু করেছেন, এর জেরে এখানে বাজার ব্যবস্থাও অনেকটাই বেড়ে উঠেছে, ইদানিং রাজবাড়ী মোড় এলাকায় বেশ কিছু সবজির দোকান দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার উপরে বসে যাওয়ায়, রাস্তায় যানজটে সৃষ্টি হয়েছিল, আর তারপরে সেই যানজট মোকাবেলার জন্য রানীগঞ্জের নুতন রাজবাড়ীর সামনে একটি এলাকাকে চিহ্নিত করে সেখানে অস্থায়ীভাবে সবজি বাজার গড়ে উঠেছে। আর এর সাথেই সেই অংশের দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু দোকানপাট রয়েছে, যারা নিত্যদিনের বিভিন্ন সামগ্রী ও ফাস্টফুড বিক্রি করে সেই এলাকায়।
ইদানিং ঐ সকল এলাকায় বেশ কয়েকটি অংশে নতুনভাবে দোকান গজিয়ে যাওয়ার বিষয় লক্ষ্য করেই এবার হইচই শুরু হল। একদিকে রানীগঞ্জ মেলা বাঁচাও কমিটির নাম রেখে রানীগঞ্জের দীর্ঘ প্রাচীন ক্লাব সংস্থা গুলির মধ্যে অন্যতম, সিয়ারসোল স্পোর্টস অ্যান্ড কালচারাল এসোসিয়েসন, দাবি করলেন অন্যায় ভাবে রথের মেলা বসার যে সকল এলাকাগুলি রয়েছে, সেই এলাকাটি রথ মেলার এলাকা হিসেবেই চিহ্নিত আছে সেই এলাকাগুলিতে ২৫ আগস্ট ২০২৫ থেকে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি দখল করে দোকান করার চেষ্টা করছে যা করলে ওই এলাকার মেলার জমি দখল হয়ে যাবে বলেই দাবী করেছেন তারা। আর এর সাথেই তাদের দাবি সামনেই রয়েছে রানীগঞ্জের গার্লস কলেজ ও গার্লস স্কুল ও বেশ কয়েকটি স্কুল। যা এই সকল অংশে ঘিঞ্জি দোকানপাট হতে থাকলে অনেকটাই অসুরক্ষিত হয়ে পড়বে ইভটিজারদের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠবে বলেই দাবি। আর তার সাথেই তাদের দাবি এই অংশে বিভিন্ন সরকারি কাজকর্ম হয়ে থাকে যা এই সকল এলাকার জমি দখল করে নিলে সেখানে গাড়ি দাঁড়ানোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ কর্মের ক্ষেত্রেও অসুবিধে বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
এই সকল দাবি তুলে তারা অবিলম্বে রথের জমি দখল করা চলবে না এই দাবি করে তারা রবিবার পথসভার মধ্যে দিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে এর বিরোধিতা করেন। একই সাথে এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসন ও রানীগঞ্জের বিধায়ক সহ অন্য সকল দপ্তরেও এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। যদিও এ বিষয়ে সিয়ারসোল রাজবাড়ির সদস্যা দাবি করেছেন সম্পূর্ণ এলাকাটি তাদের, যার নির্দিষ্ট নথি তাদের কাছে রয়েছে, আর এই যে রথ মেলার আয়োজন করা হয়েছে তা তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে তাই সম্পূর্ণটাই তাদেরই এক্তিয়ারভুক্ত, তাই এ বিষয়ে কারোর কোন কথা তারা শুনতে চান না। তার দাবি পূর্বে সিয়ারসোল স্পোর্টস এন্ড কালচারাল এসোসিয়েশনকে এই রথ মেলার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হলেও এখন তারা সেই দায়িত্ব তাদের দিতে চান না বলেই দাবি করেন রাজ পরিবারের সদস্যা অনুরাধা মানিয়া সরাফ। রবিবার এ বিষয়ে ব্যাপক উত্তেজনাময় পরিস্থিতির বিষয় লক্ষ্য করা যায় রথ মেলা চত্বরে। যদিও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস ব্যানার্জীর কোন মন্তব্য উঠে আসেনি। এখন দেখার যে সকল জমি ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে সেখানে কি হয়?





