Suvendu Adhikari : রাজ্য জুড়ে শুরু নরেন্দ্র কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, ফাইনাল ১৭ সেপ্টেম্বর
বেঙ্গল মিরর, বার্নপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বার্নপুর রোডে কোর্ট মোড় সংলগ্ন বিজেপির বিধানসভা কার্যালয়ে বুধবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য, রাজ্য বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় ও আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি।



শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বৃহস্পতিবার ১১ সেপ্টেম্বর একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকার শিকাগোতে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। যেখানে তিনি বিশ্বমঞ্চে হিন্দুধর্মকে উপস্থাপন করেছিলেন। এই দিনটিকে স্মরণ করে সমগ্র রাজ্যে নরেন্দ্র কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতা ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। ১৭ সেপ্টেম্বর দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। সেই উপলক্ষে, সেদিন এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বা ফাইনাল খেলা সারা রাজ্য জুড়ে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, এই প্রতিযোগিতা রাজ্যের ৪৩টি এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে ১৩০০টি দল অংশগ্রহণ করবে এবং ২৫০০০ ফুটবল খেলোয়াড় প্রতিযোগিতায় তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করবে। বিজয়ী দলকে ৫০০০০ টাকা নগদ পুরস্কার এবং একটি ট্রফি দেওয়া হবে। ফাইনালে হেরে যাওয়া দলকে নগদ ২৫০০০ টাকা এবং একটি ট্রফি দেওয়া হবে। সেমিফাইনাল খেলা দলকে ১৫০০০ টাকা করে পুরষ্কার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এই প্রতিযোগিতা পরিচালনার উদ্দেশ্য হল তরুণদের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি উৎসাহ জাগানো এবং তাদের জাতীয়তাবাদের সাথে সংযুক্ত করা। ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো এবং একই দিনে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিন। তাই ১৭ সেপ্টেম্বর সমগ্র রাজ্যে প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে তিনি ২৬০০০ শিক্ষকের সাথে আছেন। কিন্তু বিরোধী দলগুলি বারবার আদালতে যাচ্ছে এবং বাধা সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূল যদি অন্যায় করে, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হতেই হবে। কারণ আমাদের সংবিধান প্রতিটি নাগরিককে সেই অধিকার দিয়েছে। এদিন আবার কলকাতায় এক মহিলা ডাক্তারের শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিনি বলেন যে, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বা পুলিশ মন্ত্রী থাকবেন, ততদিন এই সব বন্ধ হবে না। কারণ তিনি অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছেন। একই সাথে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রকাশ্যে কয়লা ও বালি পাচার করছে। যে কারণে রাজ্যের সব নদীর অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি এই সব কিছুর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, খুব শীঘ্রই সমস্ত অপরাধী কারাগারে থাকবে।