KULTI-BARAKAR

আসানসোলের কল্যানেশ্বরী এলাকায় পিএইচইর অভিযান, কাটা হলো একাধিক হোটেলে বেআইনি পানীয়জলের সংযোগ

বেঙ্গল মিরর, কুলটি, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* শেষ পর্যন্ত রাজ্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর বা পিএইচইর অভিযান শুরু হলো । এই অভিযানে শুক্রবার সকালে আসানসোলের কুলটির কল্যাণেশ্বরী এলাকায় একের পর এক হোটেলের অবৈধ বা বেআইনি পানীয়জলের কানেকশন বা সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। বছরের পর বছর ধরে, এই হোটেলগুলি সরকারকে বোকা বানিয়ে অবৈধ জলের কানেকশন নিয়ে নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো ।এই অভিযানের সূত্রপাত শুক্রবার সকালে। যখন মাইথন থেকে পিএইচই দপ্তরের একটি বিশেষ দল অভিযান করতে আসে। এই এলাকার হোটেলগুলির চারপাশের ৩০ ইঞ্চি মেন জলের লাইন থেকে অবৈধ সংযোগগুলি কাটা হয়।

এই অবৈধ সংযোগগুলি এমনভাবে করা হয়েছিল যে এত বছর ধরে এই হোটেলগুলি সরকারের জন্য কত জল নষ্ট করছে তা বোঝা সম্ভব ছিল না। জানা গেছে, চারটি হোটেল থেকে ৮টির মতো অবৈধ পাইপলাইন কেটে ফেলা হয়েছে। পিএইচই দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একটি সংক্ষিপ্ত উত্তর দিয়ে বলেন, সরকারি নির্দেশে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এত বছর ধরে এই অবৈধ সংযোগগুলি কিভাবে চলতে থাকল? কারোর নজরে পড়লো না? এর পেছনে কে বা কারা ছিল?স্থানীয় হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি বলেন, কারোর একার পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয় ।

পানীয়জলের সমস্যা চরমে পৌঁছেছে। তাই হয়তো এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হতে হয়েছে। কিন্তু আমরা চাই সরকার আইনত পানীয়জল সরবরাহ করুক। তবেই হোটেল মালিকরা লাভবান হবেন।কিন্তু শুধু পাইপ কেটে ফেলা কি যথেষ্ট? স্থানীয় বাসিন্দারা যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বছরের পর বছর ধরে এই হোটেলগুলি অবৈধভাবে জল নিয়ে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি করেছে। সাধারণ মানুষের জন্য জল কমেছে এবং জল চুরি বেড়েছে।

কেবল অভিযান চালানো কি কর্তব্যের শেষ হতে পারে ? এই হোটেলগুলির বিরুদ্ধে কি কোনও মামলা দায়ের করা হবে? কাউকে কি শাস্তি দেওয়া হবে?আরেকটি প্রশ্ন হল, যখন ৩০ ইঞ্চি মেন লাইন ফুটো করে জল নেওয়া হচ্ছিল, তখন নজরদারি কোথায় ছিল? কার সাহায্যে এই কাজ সম্ভব হয়েছিল? প্রশাসনের কেউ কি এই পরিকল্পনায় জড়িত ছিল? এদিনের অভিযানের পরে এইসব প্রশ্ন স্বাভাবিক ভাবেই সামনে এসেছে। তবে, পিএইচইর কাছ থেকে এইসব প্রশ্নের কোন উত্তর পাওয়া যায় নি।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *