আসানসোলে দুর্গাপূজো কমিটিকে সরকারি অনুদানের চেক দেওয়া শুরু
ডিএম ও সিপির উপস্থিতিতে সমন্বয় বৈঠক
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ এই বছর দুর্গাপূজো আয়োজনের জন্য রাজ্য সরকার রাজ্যের সমস্ত রেজিস্ট্রার্ড পূজো কমিটিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনুদান দিচ্ছে।
শুক্রবার থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলা অর্থাৎ আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় পুজো কমিটিগুলোকে এই চেক বিলির কাজ শুরু হলো।
এদিন আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার নয়টি পূজো কমিটির সদস্যদের চেক বিতরণ করা হয়। একইসাথে এদিন আসানসোল মহকুমার বিভিন্ন পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে পুলিশ ও প্রশাসনের তরফে একটি কো-অর্ডিনেশন বা সমন্বয় বৈঠক করা হয়।













এই বৈঠকে, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক তথা ডিএম এস পোন্নাবলম ও আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার বা সিপি সুনীল কুমার চৌধুরী, আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য সহ পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী বলেন, এদিন আসানসোল মহকুমার বিভিন্ন পূজা কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি সমন্বয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিলো। বৈঠকে বিভিন্ন পূজা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকরাও এখানে উপস্থিত ছিলেন।
পূজো কমিটির সদস্যদের পূজো আয়োজনের বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে কি করতে হবে, তা বলে দেওয়া হয়েছে। এদিন নয়টি পূজো কমিটির সদস্যদের রাজ্য সরকারের অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। আগামী দু/এক দিনের মধ্যে, বাকি পূজো কমিটির সদস্যদেরও এই চেক দেওয়া হবে।
আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী সব পূজা কমিটির কাছে আবেদন করেন সব পূজো প্যান্ডেলে পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়া সম্বভব নয়। তাই প্রত্যেক পূজো কমিটিকপ বেশি করে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে হবে। তারা দর্শক নিয়ন্ত্রণ ছাড়া ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করবে। তাছাড়া সাতটা সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। প্যান্ডেলে বিদ্যুৎ সংযোগ ঠিকমতো করতে হবে। মনে রাখতে হবে বেশীরভাগ দূর্ঘটনা বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে হয়ে থাক। এই বছর ১২৩০ টি পূজেকে অনুদান দেওয়া হবে। তাছাড়া প্রশাসন থেকে আরো ১০০ টা অতিরিক্ত পূজো কমিটির নামের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আমরা আশাবাদী সেগুলো অনুমোদন পেয়ে যাবে।
জেলাশাসক এস পোন্নাবলম বলেন, পুজো প্যান্ডেলে সরকারি কয়েকটা দপ্তরের স্টল করা হবে। যারমধ্যে স্বাস্থ্য দপ্তরের স্টল করতে হবে। তারা বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার করবে। পূজো প্যান্ডেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে। বিশেষ করে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সঠিক ব্যবহার জানা টেকনিশিয়ান রাখতে হবে। যাতে কোন ধরনের সমস্যা হলে, তা সামলানো যায়।

