পুজোর সময় টোটো ও বাস বন্ধ রাখা হবে, বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা
দুর্গাপূজো ও মহাবীর আখড়া নিয়ে হিরাপুর থানার কো-অর্ডিনেশন বৈঠক
বেঙ্গল মিরর, বার্নপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* আসন্ন দুর্গাপূজা ও মহাবীর আখড়া নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বার্নপুরের ভারতী ভবনে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের হিরাপুর থানায় একটি কো-অর্ডিনেশন বৈঠক বা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। হিরাপুর থানার আওতাধীন ৯৪টি অনুমোদিত দুর্গাপূজা এবং ১৮টি মহাবীর আখড়া কমিটি নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সমস্যা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়। এতে রাস্তা মেরামত, পূজো কমিটির অনুমতিপত্র পাওয়া, নির্বিঘ্নে বিসর্জন, পূজার সময় কোনও সমস্যা না হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।




দমকল বিভাগের তরফে পূজা প্যান্ডেলের নির্মাণের উচ্চতা, প্রবেশ ও প্রস্থান গেটের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। একই সাথে পূজা প্যান্ডেলে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ইত্যাদি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ট্রাফিক গার্ড পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে যে, পূজার সময় বিভিন্ন জায়গায় একমুখী বা ওয়ান ওয়ে রাস্তার প্রবেশাধিকার থাকবে না। পাশাপাশি সন্ধ্যা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত টোটো ও বাস বন্ধ রাখা হবে। বলা হয়েছে যে, পুজোর সময় পোলো গ্রাউন্ড, ত্রিবেণী মোড়, রাজস্থান ক্লাবে বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। এই বৈঠক আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি ( পশ্চিম) সন্দীপ কাররা এবং এসিপি (হিরাপুর) ইপ্সিতা দত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে বলেন, পূজোর সময় সিসিটিভি লাগাতে হবে।

প্রয়োজনীয় ফ্লেক্স স্থাপন করতে হবে, বিসর্জন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের সমস্যা সমাধান করা হবে। বিসর্জনের সময় কোনও ডিজে থাকবে না। মহাবীর আখড়ায় কোনও ডিজে থাকবে না, কোনও ধরণের অস্ত্র প্রদর্শন করা চলবে না । এমনকি প্রতীকী অস্ত্রও দেখানো যাবে না। পুজোর সময় পুলিশ খুবই ব্যস্ত থাকবে, তাই এমন পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবকদেরও রাখতে হবে পুজো কমিটিগুলোকে। পূজোর সময় পুজো মন্ডপ খালি রাখা যাবে না । পুজো কমিটিগুলিকে গোটা বিষয়টি দেখতে হবে। পূজো কমিটির উচিত ডিসপ্লে বোর্ডটি পরীক্ষা করা যাতে আপত্তিকর কিছু লেখা না থাকে।এদিনের এই বৈঠকে হিরাপুর থানার ওসি তন্ময় রায় সহ অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।