নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দেওয়ালে ধাক্কা স্কুলের পুলকারের
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, পাণ্ডবেশ্বর :- নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে এসে একটা জামাকাপড় তৈরির দর্জির দোকানের দেওয়ালের ধাক্কা পাণ্ডবেশ্বর এর একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পুলকারের। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বেলা দশটা নাগাদ পাণ্ডবেশ্বর এর ফুলবাগান মোড়ের দুর্গা মন্দিরের সামনে। ঘটনায় দুই পুলকার চালককে আটক করে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ,আটক করা হয় গাড়িটিও।




খনি অঞ্চল তথা শিল্পাঞ্চলের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলির পুলকার চালকদের গাড়ি চালানোর বৈধতা নিয়ে উঠল প্রশ্ন এদিনের এই ঘটনায়। দেখা যায় অধিকাংশ পুলকার চালকের নেই কোন গাড়ি চালানোর বৈধ লাইসেন্স। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ছোট ছোট চারচাকা বাহনে একেবারে ঠাসাঠাসি করে বসা ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে পুলকার ছুটে চলে স্কুলের উদ্দেশ্যে।এরকম চিত্র প্রত্যেকদিন সকালবেলাতেই খনি অঞ্চল তথা শিল্পাঞ্চলে দেখা যায়। তবু ওর সাথে সয়ে চলছে এই ধরনের গাড়ি উদাসীন প্রশাসন পাশাপাশি উদাসীন আমাদের মত অভিভাবকরাও। যেকোনো সময় পুলকারের মধ্যে ছেলে-মেয়েদের বিপদ ঘটতেই পারে। অধিকাংশ পুলকারেই নেই ফিটনেস সার্টিফিকেট। এলাকার যে সমস্ত বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলি রয়েছে তারাও এই ধরনের গাড়ি চলাচলের জন্য কেন অনুমতি দেয় ? এটা নিয়েও করছে প্রশ্ন। এর আগেও বহুবার পুলকার দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বহু ছাত্র-ছাত্রী। সেই মুহূর্তে করা পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন কিন্তু পরবর্তীতে আবার সেই ঢিলেঢালা মনোভাব ।সোমবারের পাণ্ডবেশ্বর এর ঘটনা আবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।
উল্লেখ্য সৌভাগ্যবশত এদিন পুলকারে ছিল না কোন ছাত্র-ছাত্রী। উল্কার চালাচ্ছিল নিয়মিত যে যিনি এই পুলকার চালান তার এক বন্ধু। এদের দুজনেরই নেই কোন বৈধ গাড়ি চালানোর লাইসেন্স। দেখে মনে হয় নাবালক। এদিন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটির সজরে গিয়ে একটা দর্জির দোকানে ধাক্কা মারে। ঘটনায় দোকানের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দোকানদারের দুটি সাইকেল। সেই মুহূর্তে কোনক্রমে ভেতরে ঢুকে গিয়ে প্রাণে বাঁচেন দর্জি। থানার পুলিশ পৌঁছে গাড়িটিসহ ২ যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য। স্থানীয় বাসিন্দা তথা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সত্যেন্দ্র প্রসাদ যাদব জানান, যেভাবে গাড়িতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এসে দোকানটাতে ধাক্কা মারে তাতে বড় সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। তিনি বলেন যে যারা গাড়িটি চালাচ্ছিল তাদের দেখে একেবারে নাবালক বলে মনে হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের কাছে আর্জি রাখেন যেন গাড়ির মালিকদের কে পরিষ্কার ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া হয় অভিজ্ঞ লাইসেন্সধারী চালক দিয়েই যেন এই ধরনের স্কুলের ভ্যান চালাবার দায়িত্ব দেওয়া হয়।