লাগাতার বৃষ্টি, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ালো ডিভিআরআরসি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ লাগাতার বৃষ্টির জেরে মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ালো ডিভিআরআরসি অর্থাৎ দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেশন কমিটি। এরফলে এই উৎসবের মরশুমে রাজ্যের একাধিক জেলায় নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জল ছাড়ার গোটা বিষয়টি সবিস্তারে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের জানিয়েছেন ডিভিআরআরসির মেম্বার সেক্রেটারি সঞ্জীব কুমার।



নবমী অর্থাৎ বুধবার থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল ও দুর্গাপুরের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দশমী অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার একাদশীর সকাল থেকে একই পরিস্থিতি। আসানসোলে এদিন সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। এদিন সকালে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।
এদিকে, একই অবস্থা পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও। সেখানে বৃষ্টির জেরে তেনুঘাট থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। যে কারণে মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে ও শুক্রবার সকালে বেড়েছে। এরফলে দামোদর নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। একই কারণে দুর্গাপুর জলাধার থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে পাঁচটার পর থেকে মাইথন ও পাঞ্চেত ৩২ হাজার ৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিলো। এদিন সকাল আটটা থেকে মাইথন থেকে জল পরিমাণ ১০ হাজার কিউসেক বাড়িয়ে ৪২ হাজার ৫০০ কিউসেক করা হয়েছে। পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৫ হাজার কমিয়ে ২৭ হাজার ৫০০ কিউসেক করা হয়েছে। দুর্গাপুর থেকে এদিন সকাল সাতটা থেকে ৫৯ হাজার ৭৫ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। আরো জানা গেছে, দুর্গাপুর জলাধারের দুটি সেচ খাল রয়েছে। তারমধ্যে একটা থেকে ১৫০০ হাজার ও অন্যটা থেকে ৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে।
জানা গেছে, রাজ্য সরকারের তরফে ডিভিআরআরসিকে জল ছাড়ার পরিমাণ আর না বাড়াতে অনুরোধ করা হয়েছে। এই ব্যাপারে ডিভিআরআরসি তরফে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির পরিমান বাড়লে ও তেনুঘাট থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ালো হলো মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে জল ছাড়তেই হবে।