KULTI-BARAKAR

” ভুতের গ্রামে” কোজাগরী লক্ষী পুজোর আয়োজন, বছরের এই সময়ে ফিরে আসেন সবাই

বেঙ্গল মিরর, কুলটি, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* বলতে গেলে জন শূণ্য গ্রামে কোজাগরী লক্ষী পুজোর আয়োজন। আজকের দিনে একত্রিত হন গ্রামের সব বয়সের মানুষ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটির ” বেনাগ্রামে “। এক সময় এই গ্রামে ছিলো মানুষের বসবাস।রয়েছে এই গ্রামে এখনো পাকা বাড়ি ঘর। রয়েছে একটি লক্ষী মন্দির। কিন্তু এখন আর এই গ্রামে কেউ আর বসবাস করেননা। এরফলে বাড়িঘর গুলো প্রায় ভগ্ন দশা অবস্থা। এই গ্রামে দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর থেকে বাস নেই গ্রামেরই মানুষদের। গ্রামে ভুত রয়েছে বলে গুজব ছড়ায়। ভুতের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যায় গ্রামের মানুষেরা।

একটা সময় যে গ্রামে মানুষদের বাস ছিলো, সেই গ্রাম ” ভুতের গ্রাম ” বলে পরিচিত পায়। এই গ্রামের মানুষেরা এখন নিজেদের মতো করে নানা জায়গায় বাড়িঘর তৈরি করে বাস করছেনতবে আজকের দিনে অর্থাৎ কোজাগরী লক্ষী পুজোর সময় গ্রামের মানুষেরা গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামে সবাই মিলে লক্ষী পুজো করেন। দেখা হয় একে ওপরের সঙ্গে। লক্ষী পুজোর শেষে ভোগ প্রসাদ খেয়ে তারা আবার ফিরে যান নিজেদের বাড়িতে। রবিবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটির বেনা গ্রামে গিয়ে দেখা গেলো বাসিন্দারা পুজোর আয়োজনে ব্যস্ত। মন্দির সহ গোটা গ্রামকে সাজানো হয়েছে।

গ্রামের বাসিন্দা অশোক মাঝি বলেন, কোন ভূতের উপদ্রব নয়, এটা গুজব। ভূত বলে কিছু নেই। আমাদের গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণ হলো, তখন পানীয় জল, বিদ্যুৎ, বাসস্ট্যান্ড রাস্তা ঘাট ছিলোনা। তাই গ্রামের মানুষ এই বেনা গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছেন। তবে কোজাগরী লক্ষীপুজোর দিন সবাই বেনাগ্রামে ফিরে আসেন। তিনি আরো বলেন, লক্ষীপুজোর দিন দেখা হয় গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়া একে অপরের সঙ্গে। লক্ষীপুজো হয় খুব ধুমধাম করে। পুজো শেষে সবাই আবার ফিরে যাই।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *