আসানসোলে বিজেপির রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে বিপর্যয়গ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে সোমবার আক্রান্ত হন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বিজেপির অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটা এলাকায় তাদের উপরে তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্তে হামলা চালানো হয়। এর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাজ্য জুড়ে বিজেপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ করা হচ্ছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিকেলে আসানসোলের বিএনআর এলাকায় রবীন্দ্র ভবনের সামনে বিজেপির আসানসোল উত্তর বিধানসভা পক্ষ থেকে রাস্তা অবরোধ ও বিক্ষোভ দেখানো হয়।













বিজেপির রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। যেখানে বিপুল সংখ্যায় বিজেপি নেতা ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে রবীন্দ্র ভবনের সামনে একটি প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়। এরপর বিজেপি নেতা ও কর্মীরা বিএনআর ব্রিজ অবরোধ করেন।বিজেপি কর্মীরা রাজ্যের শাসক দল ও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকার এবং পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। তারা বিজেপি নেতা ও প্রতিনিধিদের উপর আক্রমণকারীদের গ্রেফতার এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই অবনতি হয়েছে যে জনপ্রতিনিধিরাও এখানে নিরাপদ নন। বিজেপিকে থামাতে, তৃনমুল কংগ্রেসের নির্দেশে বিজেপি নেতাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজেপির ক্রমবর্ধমান প্রভাব আটকানোর জন্যই এই পথ নেওয়া হয়েছে। এইভাবে বিজেপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। পরে সাংবাদিকদের কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাওয়া একজন বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়কের উপর যদি এইভাবে আক্রমণ করা যায়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কল্পনা করা সহজ। তিনি আরো বলেন, এদিনও উত্তরবঙ্গ থেকে একজন বিজেপি জনপ্রতিনিধির উপর আক্রমণের খবর এসেছে।
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস মনে করে যে এইভাবে বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করে তারা ক্ষমতায় থাকতে পারবে, তাহলে তারা ভুল করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন যে তার বিদায় নিশ্চিত। তাই তিনি তার দলের মদতপুষ্ট গুণ্ডাদের এই ধরনের আক্রমণ করা হচ্ছে । তবে, বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে এবং ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর গণতান্ত্রিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করবে। তার দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে কোনও সমঝোতা নেই। বিজেপি গণতান্ত্রিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাজিত করে, বাংলায় ক্ষমতায় আসবে।

