গৃহস্থর বাড়ির তালা ভেঙে লুঠ টাকা, সোনার গয়না
বেঙ্গল মিরর, রুপনারায়নপুর, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোলের সালানপুর থানার রূপনারায়ণপুরে আবারও দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা । চোরেরা পুলিশ প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে একের পর এক বাড়ি ফাঁকা করে দিচ্ছে অনায়াসে। গত ২০ দিনের মধ্যে এলাকায় পাঁচটি বড়সড় চুরির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে চুরি হলো অবসরপ্রাপ্ত কর্মী শুভাশিস তেওয়ারির বাড়িতে। মাত্র এক রাতের জন্য স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি গেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে ফিরে এসে দেখেন বাড়ির দরজার তিনটে তালা ভাঙা হয়েছে। ঘরের আলমারি ভেঙে জিনিসপত্র তছনছ করে দিয়েছে চোরেরা। ৫ ভরি সোনার গয়না , নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, জামাকাপড় সব গায়েব। স্বাভাবিক ভাবেই বৃহস্পতিবার সকালে এই চুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা।



খবর পেয়ে রুপনারায়নপুর ফাঁড়ির পুলিশ আসে। সবকিছু খতিয়ে দেখার পরে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিন সকালে গৃহকর্তা বলেন, একরাতের জন্য বাড়িতে তালা বন্ধ করে শ্বশুরবাড়ি গেছিলাম। সকালে এসে দেখি এই অবস্থা। তালা ভেঙে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে চোরেরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসেছিলো। কিন্তু এক রাতের মধ্যে গৃহস্থর বাড়িতে চুরির ঘটনা স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। চোরেরা কিভাবে জানতে পারছে এলাকার কোন বাড়ি ফাঁকা আছে ? স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রানা মাহাতো বলেন, চোরেদেরকে নিশ্চয়ই এলাকা থেকে কেউ তথ্য দিচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করে, দ্রুত এই চুরির কিনারা করুক। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানান।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, কঠোর পদক্ষেপ আর কবে হবে? আরেকটি চুরির পর? পরপর চুরির ঘটনার পরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ এখন চরমে। তাদের অভিযোগ, পুলিশ যেন চুরির ঘটনাগুলিকে নিয়মিত ও স্বাভাবিক হিসেবে নিচ্ছে। তাই তাদের কোন চেষ্টাই নেই, এইসব বন্ধ করা নিয়ে।এদিকে, পুলিশ জানায়, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।