দুর্গাপুরে নির্যাতিতার বাবাকে নিয়ে টানাটানি, বিতর্ক বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বাকবিতন্ডা অভয়া মঞ্চ ও ডক্টর্স ফোরামের, কটাক্ষ শাসক দলের
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক ডাক্তারি পড়ুয়াকে গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে উত্তাল রয়েছে ইস্পাত নগরী দুর্গাপুর। আরজি করের মতো এই ঘটনা শোরগোল ফেলেছে রাজ্যে। বিজেপি সহ সব বিরোধী দল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাস্তার নেমেছে।তারই মধ্যে রবিবার নতুন বিতর্ক। দুর্গাপুরের ঐ নির্যাতিতার বাবাকে নিয়ে টানাটানি থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত হলো। ভাইরাল হওয়া একটা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নির্যাতিতার বাবাকে নিয়ে যাচ্ছেন পারিজাত গাঙ্গুলি সহ বিজেপির কয়েকজন নেতা। তখন নির্যাতিতার বাবার সামনে কথা বলার জন্য দাঁড়ান ওয়েষ্ট বেঙ্গল ডক্টরস্ ফোরামের সদস্য এক চিকিৎসক। তার সঙ্গে অভয়া মঞ্চের সদস্যরা। ঐ চিকিৎসক নির্যাতিতার বাবাকে আরজি করের ঘটনার পর থেকে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করার কথা বলেন।



তিনি, তার মেয়ে ও তার পরিবারের পাশে থাকার জন্য ফোন নম্বর চান। সেই তার কানে কানে বিজেপি নেতা কিছু কথা বলতেই তিনি নম্বর দিতে অস্বীকার করেন। এরপর বিজেপি নেতারা তাকে টানতে টানতে নিয়ে চলে যেতে থাকেন। সেই সময় সেখানে থাকা বিজেপি কর্মীরা ঐ চিকিৎসকের উদ্দেশ্যে কটু মন্তব্য করেন। তা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই ঐ চিকিৎসক ও অভয়া মঞ্চের সদস্যরা তাদের পিছু ধাওয়া করেন। কিছুটা যাওয়ার পরে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা বেঁধে যায়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরে গণধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত তিনজন। কিন্তু তারমধ্যেই রাজনীতির ময়দানে দলাদলিতে নেমেছে সব রাজনৈতিক দল। নির্যাতিতার বাবা যখন বিচারের আশায় শোকে কাতর, সেই মুহূর্তেই তার পরিবারকে নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনীতি? কাদের পক্ষে থাকবে? কার দিকে যাবে সিপিএম না বিজেপি? সেই বচসায় টানাটানি তার বাবাকে নিয়ে। রাজনীতির আজব দৃশ্য দেখছেন এই শিল্পাঞ্চলবাসী বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, মেয়ের উপর নির্যাতনের কথা জানতে পেরে শুক্রবার রাতেই উড়িষ্যার জলেশ্বর থেকে দুর্গাপুরে চলে আসেন দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার বাবা। সেদিন থেকে তিনি দুর্গাপুরেই আছেন। তিনি গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।