দুর্গাপুরে বিভিন্ন সংগঠনের হাসপাতালে যাওয়া নিয়ে গন্ডগোল, ব্যারিকেড দিয়ে আটকানোর চেষ্টা
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* নারী নিগ্রহ বিরোধী দুর্গাপুর নাগরিক কমিটি এবং “ভয়েস অফ অভয়া ও ভয়েস অফ ওমেন” কলকাতার পক্ষ থেকে সোমবার দুর্গাপুরের ঐ বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তার বদলে স্মারক লিপি দেওয়া হয় সুপারকে।এদিনের এই কর্মসূচিকে ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কলেজের সামনে নিরাপত্তা রক্ষীদের পাহারায় লোহার ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়। এইসব সংগঠনের প্রতিনিধিদলকে ঢুকতে দিতে দেওয়া হয় না। এর ফল ব্যারিকেড ভেঙ্গে সংগঠনের সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করেন।



এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চারজন প্রতিনিধিকে ভেতরে ঢোকার করার অনুমতি দেন। তবে মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মহিলা হয়েও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি। তার বদলে হাসপাতাল সুপার স্মারকলিপি গ্রহণ করেন। “নারী নিগ্রহ বিরোধী দুর্গাপুর নাগরিক কমিটির” পক্ষ থেকে লতা ঘোষ দাবি করেন অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে । তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত করতে হবে এবং নারীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
ভয়েস অফ অভয়ার পক্ষ থেকে ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র এবং ডাঃ সজল বিশ্বাস, নার্সেস ইউনিটির পক্ষ থেকে ভাস্বতী মজুমদার দাবি করেন, আরজি কর কান্ডের মতো এই ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাসক দল কোনমতেই যেন আড়াল করার চেষ্টা না করে সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকতে হবে। একইসাথে, নাগরিক সমাজকেও সজাগ থাকতে হবে। আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয় এদিনের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে।
অন্যদিকে, এদিন এসইউসিআইয়ের কলকাতা এবং দুর্গাপুরের এক প্রতিনিধিদল নির্যাতিতা ও এবং পরিবারের সাথে কথা বলতে আসেনকিন্তু ব্যারিকেড দিয়ে তাদের পথ আটকান হাসপাতালে নিরাপত্তা রক্ষীরা। তারপরেই ব্যারিকেড ধরে টানাটানি শুরু হয়। ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় নিরাপত্তা রক্ষীদের সাথে। তারপরেই হাতাহাতি থেকে রণক্ষেত্র চেহারা। তবে এই উত্তাল পরিস্থিতি হলেও, সেই সময় হাসপাতাল চত্বরে কোন পুলিশের আধিকারিক বা কর্মীদেরকে দেখা যায়নি।