দুর্গাপুরের ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি, বিজেপিকে আক্রমণ, বারাবনিতে দলের বিজয়া সম্মেলনে মন্ত্রী শশী পাঁজা
বেঙ্গল মিরর, বারাবনি, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* ধর্ষণের মতো ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করতে। চেষ্টা করছে ভেদাভেদ তৈরিরও। মঙ্গলবার আসানসোলের বারাবনির জামগ্রামে দলের তরফে হওয়া এক বিজয়া সম্মেলন এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের শিশু ও নারী কল্যান দপ্তরের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা। বিজয়া সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গে ত্রাণ দেওয়া থেকে দুর্গাপুরের ধর্ষণ কান্ড সহ নানা বিষয়ে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনীতি করা নিয়ে কটাক্ষ করেন। অথচ রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া টাকা আটকে রাখা নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার তীব্র সমালোচনা করেন।













রাজ্যের মন্ত্রী ডাঃ শশী পাঁজা ধর্ষণ নিয়ে মন্তব্য নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করে বলেন, বিজেপি রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি করছে। তার দাবি, দুর্গাপুরের ধর্ষণ কান্ড নিয়ে জাত ধর্ম, সম্প্রদায় টেনে বাংলাতে নানা ভাবে ভাগ ও ভেদাভেদ করার চেষ্টা করছে । মন্ত্রী বলেন, ধর্ষক বা ধর্ষনের কোন জাত ধর্ম দিয়ে বিচার হয় না। এদের পরিচয় একমাত্র এরা অপরাধী। বিজেপি ধর্ষণ কান্ডে জাতধর্ম জড়িত বলে এমনকি সমাজমাধ্যমেও প্রচার করছে। যারা গ্রেফতার হয়েছে, তারা নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলে অপপ্রচার করা হচ্ছে । কিন্তু অনুপ বাউড়ি নামে যাকে গ্রেফতার করা হয়ে, বিজেপির সাথে যুক্ত বলে বিজেপি চুপ করে গেছে।
তিনি বলেন, দুর্গাপুরের ঘটনায় তো পাঁচজন গ্রেফতার হয়েছে । জয়পুর ,উড়িষ্যা, ত্রিপুরা সহ বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে যে ধর্ষণের ঘটনাগুলি ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে তারা চুপ কেন? আমরা যদিও এটাকে সামাজিক অবক্ষয়ের অপরাধ বলে মনে করি । পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গের ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে প্রতিটি জায়গায় নিজে পৌঁছছেন। ত্রাণ ব্যবস্থা নিয়ে খোঁজ খবর করে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। অথচ কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের মানুষের সমস্ত কেন্দ্রের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। বছরের পর বছর বাংলার বাড়ি থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা হয়েছে। এটা এই রাজ্যেট বিজেপি নেতাদেরই কাজ।
বিজেপির তোলা অনুপ্রবেশের বিষয় ও এসআইআর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিহারে ৬৬ লক্ষ লোকের নাম বাদ গেছে । তার মধ্যে একজনও রোহিঙ্গা আছে বলে কমিশন কিন্তু জানায়নি। পশ্চিমবাংলাতেও বিজেপির কথায় নির্বাচন কমিশন এই কাজ করতে চায় ।আমাদের দাবি, একজনও প্রকৃত ভোটারের নাম যেন বাদ না যায় । আর যদি কোন অনুপ্রবেশকারী ঢুকে থাকে বা ঢোকে তার দায়িত্ব বিএসএফের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এর দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না। এর জবাব তাদেরকেই দিতে হবে।এদিনের অনুষ্ঠানে বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

