দুর্গাপুর গণধর্ষণ কান্ড : আচরণ সন্দেহজনক, এবার গ্রেফতার নির্যাতিতার সহপাঠী
ধৃতর সংখ্যা বেড়ে ৬,নেওয়া হলো গোপন জবানবন্দি
বেঙ্গল মিরর, দুর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* দুর্গাপুর গণধর্ষণ কান্ডে এবার মঙ্গলবার সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ গ্রেফতার করা হলো নির্যাতিতার সহপাঠী বন্ধুকে। টানা তিনদিন ধরে দফায় দফায় জেরা করার পরে, তার কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাকে দুর্গাপুর আদালতে পেশ করা হবে। এই গ্রেফতারির এক ঘন্টা আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর থানায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে বেশ কিছু তথ্য দেন আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, ঐ নির্যাতিতার সহপাঠীর আচরণ খুবই সন্দেহজনক। তাকে আমরা নজরে রেখেছি। তাকে ডেকে বারবার জেরা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় তা কি ভূমিকা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।













এদিন কমিশনার আরো বলেন, আমরা সেদিন ঘটনাস্থলে থাকা পাঁচজনকেই গ্রেফতার করেছি। কিন্তু নির্যাতিতার বয়ান ও এখনো পর্যন্ত যেসব তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে, তাতে নিশ্চিত হওয়া গেছে, একজনই ধর্ষণ করেছে। বাকি চারজনের ঠিক কি ভূমিকা ছিলো, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফরেনসিক ও মেডিকোলজিক্যাল পরীক্ষা রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। এছাড়াও কিছু টেকনোলজিক্যাল এভিডেন্স পাওয়া বাকি আছে। তারপরই জানা যাবে কে ধর্ষণ করেছে। পাঁচজনের পাশাপাশি ঐ সহপাঠী পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলি ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে। পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, এদিন ধৃত ও সহপাঠীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছিলো। গোটা ঘটনার রিকনস্ট্রাকশন বা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা এসে নমুনা সংগ্রহ করেছেন।
ধৃতদের কাছ থেকে নির্যাতিতার মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। যে কারণে, ধৃতদের বিরুদ্ধে বিএনএসের আরো কয়েকটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। তবে এদিন পুলিশ কমিশনার নির্যাতিতার বাবার তদন্তে দেরী হওয়ার কথা মানতে চাননি। পাশাপাশি বাবার সিবিআই তদন্ত চাওয়া নিয়ে পুলিশ কমিশনার কোন মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, রাত একটা বেজে আট মিনিটে কলেজের তরফে মৌখিক ভাবে থানায় জানানো হয়। সঙ্গে সঙ্গে সিআই ও ওসি সেখানে যান। এরপর লিখিত ভাবে জানানো ভোর রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ। তারপর আইন মতো এফআইআর করা হয়েছে।

