সাঁইবাবা হাসপাতাল এবার সালানপুর ব্লকে, চিকিৎসা পরিষেবায় অভূতপূর্ব নতুন দিগন্ত
বেঙ্গল মিরর,।আসানসোল। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় সালানপুর ব্লকে এই প্রথম রবিবার বিশেষ করে আর্থিকভাবেই পিছিয়ে পড়া দুঃস্থ মানুষদের জন্য স্বাস্থ্যপরিষেবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় শুরু হলো ব্যাঙ্গালোরের শ্রী সত্য সাঁইবাবা হাসপাতালের হাত ধরে।তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ এবং চিকিৎসার জন্য শুরু হল ” সাঁই স্বাস্থ্য ওয়েলনেস সেন্টার”-এর। মুক্তাইচন্ডী পাহাড়ে মুক্তাইচন্ডী আনন্দমেলা সমিতির সঙ্গে ব্যাঙ্গালোরের শ্রীমধুসূদন ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিষেবা পাওয়ার সুবিধা উপলব্ধ হবে।













উল্লেখ্য, ২৩ নভেম্বর ভগবান শ্রী সত্য সাঁই বাবার ১০০-তম জন্মদিন উপলক্ষে দেশের একশোটি জায়গায় ওয়েলনেস সেন্টার চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সকলেই জানেন ব্যাঙ্গালোরের এই হাসপাতালে জটিল হার্ট অপারেশন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ দীর্ঘকাল ধরে সেখানে এই পরিষেবার সুবিধা গ্রহণ করে আসছেন। এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত একে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহাম্মদ আরমান, বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও প্রবীণ সাংবাদিক বিশ্বদেব ভট্টাচার্য জেলার ডেপুটি সিএমও এইচ অনন্যা মুখোপাধ্যায় মা মুক্তাই চণ্ডীর সম্পাদক স্বপন মন্ডল । কিভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষজনদের স্বাস্থ্য সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই সম্পর্কে তথ্যমূলক বক্তব্য রাখেন বিশ্বদেব বাবু ।
মানুষজন অসুস্থ হলে যাতে অসুবিধায় না পড়েন সেই কথা মাথায় রেখে মুক্তাইচন্ডী আনন্দমেলা সমিতি এই ওয়েলনেস সেন্টার শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছেন বলে তিনি জানান। ওই আন্তর্জাতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আসা শুভজিৎ রায় মুখার্জি বক্তৃতার পরে বিশ্বদেব বাবুর বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরও তিনি দেন ।সালামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাস প্রতি মন্ডল ও সহ-সভাপতি বিদ্যুৎ মিশ্র ,চিকিৎসক কৃষ্ণ ভানু বন্দোপাধ্যায় ,অদ্রিজা রায় ভয় ভঞ্জন সাহা ,মুক্তাই চন্ডী সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা দয়াময় দাস অন্যতম তাপস উকিল তপন মাহাতা , গৌরাঙ্গ তেওয়ারি, স্বাস্থ্য আবিষ্কার পত্রিকার সম্পাদিকা কেয়া সরকার, এবং সামনে ও ফুলবাড়িয়ার দুই পঞ্চায়েত প্রধান উপস্থিত। ছিলেন। জানা গেছে আপাতত মাসে দু দিন মুক্তাইচণ্ডী পাহাড়ে চিকিৎসকেরা রোগী দেখবেন। সাঁইবাবা হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা ওষুধ বিতরণ করবেন। যে কোন শারীরিক অসুস্থতায় মানুষজন এখানে চিকিৎসা এবং সুপরামর্শ পাবেন। এছাড়াও রোগীদের জটিল হৃদরোগের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে ব্যাঙ্গালোরে পাঠানোর উদ্যোগ নেবেন। শুরুর দিনেই প্রথম স্বাস্থ্য শিবিরে চিকিৎসক জয় শঙ্কর সাহা সহ আরো কয়েকজন চিকিৎসক রোগীদের চিকিৎসা করেন।


