তৃণমূল কাউন্সিলারের ২০০২ র ভোটার তালিকায় নাম নেই , চক্রান্তের অভিযোগ
বেঙ্গল মিরর, বার্নপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া চলার মধ্যে প্রতিদিন নতুন নতুন বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। জামুরিয়ার বিধায়ক এবং তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা চেয়ারম্যান হরে রাম সিং-এর নাম উত্তর প্রদেশের ভোটার তালিকায় থাকা নিয়ে বিতর্ক থামার আগেই আসানসোল পুরনিগমের ৭৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর এবং তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য শিক্ষক নেতা অশোক রুদ্র নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন।













বার্নপুরের স্টেশন রোডে তৃণমূল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর অশোক রুদ্র বলেন যে তার বাবা প্রয়াত চণ্ডী দাস রুদ্র এবং তার মা ঝর্ণা রুদ্রের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই । তার দাদু প্রয়াত সতীশ চন্দ্র রুদ্র একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন। তিনি দাবি করেন যে আমি রোহিঙ্গা নই, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানের শরণার্থীও ছিলাম না। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পবিত্র ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি প্রতিটি নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আসছেন। তার দাদু ভাগলপুরে রেলওয়েতে কাজ করতেন, কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামে জড়িত থাকার জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে বরখাস্ত করেছিল। ১৯৫৮ সালে, তার বাবা প্রয়াত চণ্ডী দাস রুদ্র আদ্রা রেলওয়ে বিভাগে যোগদান করেন। তার বাবা ১৯৯৬ সালে অবসর গ্রহণ করেন।
তার একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং প্রয়াত বাবার পিপিও নথিও রয়েছে। তা সত্ত্বেও, তার প্রয়াত বাবা এবং মায়ের নাম সহ তার নাম ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর পেছনে চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি তৃণমূল কাউন্সিলারের। তার মতো, লক্ষ লক্ষ সাধারণ, প্রকৃত ভোটার ভোটার তালিকা থেকে তাদের নাম না থাকায় আতঙ্কিত। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে এতে ভীত হয়ে কেউ আত্মহত্যা করলে বা মারা গেলে তার দায় কে নেবে?নির্বাচন কমিশন নেবে তো? তিনি বলেন আমি, নির্বাচন কমিশনের এই ত্রুটি সম্পর্কে তার দলের রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বকে অবহিত করেছি।
অশোক রুদ্রের এই অভিযোগগুলি এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তবে, শাসক দলের কাউন্সিলরের অভিযোগ ও দাবির পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেন ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তার ও তার মায়ের নাম নেই কাউন্সিলরই বলতে পারবেন। যতদূর জানি তিনি ঐ সময় বামপন্থী ছিলেন। রেল কোয়ার্টারে থাকতেন। বিজেপি নেতা বলেন, ভোটার তালিকা কোন রাজনৈতিক দল বা সরকার তৈরি করেনা। তা করে নির্বাচন কমিশন। কমিশন বলতে পারবে। আর নির্বাচন কমিশনের গাইড লাইনে বলা হয়েছে, বারোটি ডকুমেন্টের মধ্যে যেকোনো একটা দিলেই যে কারোর নাম উঠবে। বিজেপি চায় স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করুক নির্বাচন কমিশন।

