আসানসোলে কমিউনিটি হল কান্ড : কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মেয়রের সঙ্গে কথা পুলিশ অফিসারের, দেওয়া হলো নথি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোল পুরনিগমের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীনগরের সগুন কমিউনিটি হল কান্ডে প্রতিদিনই বলতে গেলে নতুন নতুন বিষয় ও তথ্য উঠে আসছে। শুক্রবার মেয়র বিধান উপাধ্যায় এক ব্যক্তির কথা বলেন। যিনি তার বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য ঐ কমিউনিটি হলটি ২৩ হাজার টাকায় বুক করেছিলেন। কিন্তু বিয়ের আগে, ঐ ব্যক্তির মায়ের শরীর খারাপ হয়। তার চিকিৎসা করাতে অনেক টাকা খরচ হয়। তাই তিনি সেই বিয়ের অনুষ্ঠান বাতিল করেন।













তিনি হলের জন্য বুক করা ২৩ হাজার টাকা ফেরত চান। তিনি এই বিষয়ে মেয়রের সাথে দেখা করেন ও তার সমস্যার কথা বলেন। তার কথা শুনে মেয়র ঐ হল পরিচালনকারী সংস্থাকে টাকা ফেরত দিতে বলেছিলেন। কিন্তু এদিন মেয়র বলেন, তা সত্ত্বেও, ঐ ব্যক্তিকে সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। এদিন মেয়র ঐ হল সম্পর্কিত সমস্ত নথি যাচাই করেন। তার ভিত্তিতে বিধান উপাধ্যায় বলেন, ২৩ নং ওয়ার্ডের তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলার সিকে রেশমা ২০১৬ সাল থেকে ঐ কমিউনিটি হল নিয়ে রেখেছেন। কিন্তু ২০২১ সালের আগে সিকে রেশমার ঐ হল দখলে রাখার কোন নথি বা কাগজ আসানসোল পুরনিগমের কাছে নেই।
২০২১ সালের পরে গত চার বছরে ঐ কাউন্সিলর ঐ হলের জন্যে আসানসোল পুরনিগমকে ৪/৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। কখনো এক লক্ষ টাকা বা কখনো দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২০২১ সালের আগে টাকা দেওয়ার কোনও কাগজ পুরনিগমের কাছে নেই। এ বিষয়ে আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আর কে শ্রীবাস্তব বলেন, এদিন আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ অফিসার আসানসোল পুরনিগমে আসেন। তিনি মেয়রের সঙ্গে সঙ্গে কথা বলেছেন। সেদিনের ঘটনার পরে কাউন্সিলর সিকে রেশমার নামে পুলিশের কাছে যে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিলো, সেই সম্পর্কিত কিছু নথিপত্র নিয়ে গেছেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে আসানসোল ওম্যান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ঐ হল চালানোর কোনও অধিকার নেই। তবুও আগের তারিখ দেখিয়ে দখলে রেখে জোর করে চালানো হচ্ছে। মেয়র বিধান উপাধ্যায় লিগ্যাল এ্যাডভাইজার ও আইনি পরামর্শদাতাদের সাথে পরামর্শ করে এ বিষয়ে আরো কিছু পদক্ষেপ নেবেন বলে এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এদিন জানিয়েছেন। জানা গেছে, এদিন পুলিশ অফিসারের সাথে মেয়রের কথা বলার সময় ছিলেন পুরনিগমের লিগ্যাল এ্যাডভাইজার সুদীপ্ত ঘটক। আরো জানা গেছে, ঐ কমিউনিটি হল বুকিং করার সময় যে রশিদ দেওয়া হয়, তাতে আসানসোল পুরনিগমের এক কর্মীর মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। তাকে ইতিমধ্যেই সনাক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে পুরনিগম সূত্রে জানা গেছে।এদিকে, এই ঘটনায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তুষ্ট আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ। যা নিয়ে, রাজ্য পুলিশের উচ্চ মহলে জানানোর ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে পুর কতৃপক্ষ।

