ASANSOL

আসানসোলে আরো এক চিটফান্ডের হদিশ, ২০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারিতে প্রতারিত হাজারেরও বেশি

বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে থানায় অভিযোগ

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোলঃ* আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্র পালের নেতৃত্বে রবিবার সকালে আসানসোল দক্ষিণ থানায় একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। যে স্মারকলিপিতে আরো একটি চিটফান্ড কেলেঙ্কারি হাজার হাজার মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। এদিন প্রতারিত হওয়া শতাধিক মানুষ আসানসোল দক্ষিণ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান।এই প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, সম্প্রতি আসানসোল উত্তর থানার রেলপার এলাকায় একই ধরণের চিটফান্ড কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে এসেছে। সেই কেলেঙ্কারিতে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের নেতা শাকিল আহমেদের ছেলে তহসিন আহমেদ জড়িত। এবার, আসানসোলে আবারও একই ধরণের কেলেঙ্কারির অভিযোগ সামনে এলো।

তিনি বলেন, অ্যারোপোনিক্স এগ্রিকালচার অ্যান্ড সাপোর্ট ইন্ডিয়া ডেভেলপমেন্ট নামে একটি কোম্পানি এই চিটফান্ড কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। এই কোম্পানি কেবল মাত্র আসানসোল সহ পশ্চিমবঙ্গেই নয়, ঝাড়খণ্ড ও ছত্তিশগড়েও হাজার হাজার মানুষকে প্রতারিত করেছে। অভিযোগে অভিযুক্ত। কোম্পানির মালিক ফায়াজ আহমেদ এবং মহঃ নাদিম এই কেলেঙ্কারির মাথা। এর সঙ্গে রয়েছে বিজয় পণ্ডিত, সাবির আনসারি, রোহিত রানা এবং সাকির আলি। এরা সকলের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষের সাথে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। যার পরিমাণ ২০০ কোটি টাকারও বেশি বলে জানা গেছে। তিনি আরো বলেন যে ২০০০ টিরও বেশি চেক বাউন্স হয়েছে। বিধায়কের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে এর আগেও যতগুলি এই ধরনের কেলেঙ্কারি ঘটেছে, তার সঙ্গে কোন না কোন ভাবে তৃণমূল নেতারা জড়িত ছিলেন। অনেককে এরজন্য জেলে যেতে হয়েছে। তবুও এই ঘটনা থামছে না। এখনও মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত এই কেলেঙ্কারিতে কোনও রাজনৈতিক জড়িত থাকার কথা প্রকাশ পায়নি। তবে, যখন এত বড় কেলেঙ্কারি ঘটেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এবং পুলিশ প্রশাসন তা জানে না তা অসম্ভব। তাই, এদিন আমি আসানসোল দক্ষিণ থানায় একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। এই পুরো কেলেঙ্কারিতে জড়িত সমস্ত অপরাধীদের ৭ দিনের মধ্যে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি। অগ্নিমিত্রা পাল হুমকি দিয়ে এদিন বলেন, যদি ৭ দিনের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করা হয়, তাহলে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলন করবে।এই চিটফান্ডের মাথা ও তার সঙ্গীরা আসানসোল শহরের বাসিন্দা। তারা আপাততঃ ফেরার রয়েছে। প্রতারিত হওয়া মানুষেরা বলেন, তারা টাকা পাওয়া যাবে, এই আশায় ফাঁদে পড়ি। পুলিশ জানায়, একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *