BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

গৌরাংডি রোডের সংস্কার নিয়ে ক্ষোভ স্থানীয় মানুষের ৫ কোটির রাস্তায় হাতের চাপেই উঠে আসছে পিচের চাকলা

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র : গৌরাংডি রোডের সংস্কার নিয়ে ক্ষোভ স্থানীয় মানুষের ৫ কোটির রাস্তায় হাতের চাপেই উঠে আসছে পিচের চাকলা সালানপুর ও বারাবনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্লকের সংযোগকারী রাস্তা যেটি রূপনারায়ণপুর আমডাঙ্গা থেকে গৌরান্ডি পর্যন্ত মোট নয় কিলোমিটার নতুন রাস্তার কাজ চলছে যার কাজের জন্য মোট ৫ কোটি ৩২ লাখ ১ হাজার ৪০০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল । কিন্তু সেই রাস্তা কি আদৌ ঠিক হচ্ছে না এক পাতলা আস্তরণ দিয়ে ঢেকে ফেলা হচ্ছে । এমনই এক অভিযোগ উঠে এল কুসুমকানালি মোড় এলাকায় দেখা যাচ্ছে যে রাস্তার পিচ মানুষজন হাতে করে তুলে নিতে পারছেন। এমনই পাতলা আস্তরণের পিচ বিছানো হয়েছে যে রাস্তাটি একটি বর্ষা পেলেই শেষ হয়ে যাবে।তাছাড়া যেভাবে গোড়ান্ডি থেকে রূপনারায়নপুর রোডে বিশাল বিশাল গাড়ি চলাচল করছে তার চাপে এই রাস্তা বেশি দিন টিকবে না বলে মনে করছেন অনেকেই।

প্রসঙ্গত বহু চেষ্টার পর বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোল মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের উদ্যোগে রূপনারায়ণপুর থেকে গৌরাংডি হাটতলা পর্যন্ত এই ৯ কিলোমিটার ১৫০ মিটার রাস্তা সংস্কারের জন্য অর্থ বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। ‌সেই রাস্তারই এমন বেহাল সংস্কার নিয়ে মানুষজনের অভিযোগের অন্ত নেই।এ বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি এই রাস্তার সংস্কার কাজের সূচনা হয়েছিল গৌরাণ্ডী মোড় এলাকায় যেখানে বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় নিজে উপস্থিত থেকে এই কাজের সূচনা করেছিলেন অন্যদিকে আমডাঙ্গাতেও একটি কাজের সূচনা করা হয়েছিল যেখানে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহঃ আরমান উপস্থিত ছিলেন এসংস্কারের জন্য সময় বরাদ্দ করা হয় এক বছর।

রাস্তার কাজ নিয়ে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রী আরমান বলেন এর আগেও কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এলাকায় গিয়েছিলেন, সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারকেও ডেকেছিলেন এবং তখনকার মত সমস্যা মিটে গিয়েছিল। আজ অভিযোগ পাওয়ার পরেই তিনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করলে ঠিকাদার তাকে জানিয়েছেন ঠান্ডার মধ্যে রাস্তার পিচ জমতে চার-পাঁচ দিন সময় লাগছে, সেই সময়ের পরে আর এমন বিপত্তি ঘটবে না। যদিও এ প্রসঙ্গে শ্রী আরমান বলেন রাস্তা সংস্কারের পর পরবর্তী পাঁচ বছর এই রাস্তার দেখভালের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের। তবুও নতুন রাস্তার পিচ কিভাবে হাতে করেই তুলে ফেলা যাচ্ছে, সেই বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখতে আবার উঠে পড়ে লাগবেন বলে জানান।

অন্যদিকে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি পশ্চিম বর্ধমান ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ার সব্যসাচী ওঝা বলেন এই রাস্তায় পিচ ঢালার ক্ষেত্রে তারা একটি নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখে এই প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হবে কিনা তা নিশ্চিত করবেন। তিনি বলেন আগামীকালই দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারকে এই রাস্তার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য রূপনারায়ণপুরে পাঠাচ্ছেন। যদিও ভুক্তভোগী মানুষজন প্রশ্ন তুলেছেন নতুন রাস্তার কাজ এইভাবে খারাপ হবে কেন? তারা বলছেন অত্যন্ত পাতলা চাদরের মত পিচ বিছানো হচ্ছে।

গ্রামীণ রাস্তার ভার বহন ক্ষমতা খুব বেশি ১৫ টন হলেও অন্ততপক্ষে ৪০ থেকে ৪৫ টন ভারী যানবাহন চলাচল করার সম্ভাবনা। ফলে এই রাস্তার স্থায়িত্বও খুব বেশি দিন হবে না বলেই তাদের আশঙ্কা। কিন্তু জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে আইআরডিএফ তহবিল থেকে প্রাপ্ত অর্থে পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ সড়ক যোজনার অন্তর্ভুক্ত এই রাস্তার কাজ কেন ঠিকাদারের মর্জির উপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষজন। কেন সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগগুলি এই কাজের সঠিক তদারকি করছেন না সেই প্রশ্নও তারা তুলেছেন। সাইট ইঞ্জিনিয়ার কেন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন না সেই বিষয়টি তোলেন এক রাজনৈতিক নেতা। তিনি বলেন যে কোনো খারাপ কাজের সরাসরি প্রভাব রাজনৈতিক দলের উপরে পড়ে, কিন্তু সরকারি দপ্তরগুলি উদাসীন থাকে তাদের দায়িত্ব নিয়ে। ‌ অবিলম্বে গৌরাংডি রোডের সংস্কার কাজ যাতে সঠিকভাবে হয় তার দাবি জানানো হয়েছে।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *