অবৈধ কয়লা ও বালি পাচার মামলায় ইডির তৎপরতা, ঝাড়খণ্ড, কলকাতা, আসানসোল, দুর্গাপুর সহ ৩০ টিরও বেশি জায়গায় অভিযান
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* অবৈধ কয়লা খনন, চোরাচালান এবং সেই কারবারে টাকা পাচারের ঘটনায় শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সীমান্তের বেশ কয়েকটি স্থানে একযোগে অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। এই অভিযান কয়লা ও বালি মাফিয়া ও কারবারিদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। এদিন সকাল থেকে আসানসোল ও দুর্গাপুরেও ইডি অভিযান চলছে। জানা গেছে, রাজ্যের ২২ টি জায়গায় এবং ঝাড়খণ্ডের ১২টি জায়গায় চলছে ইডি অভিযান। দুর্গাপুরের বিধান নগরের শালানপুরিয়া আবাসনে ভোরবেলা থেকে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। ইডির আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।













সূত্রের খবর, সুশান্ত গোস্বামীর একটি আবাসন রয়েছে সেখানেই চলছে এই অভিযান। এই সুশান্ত গোস্বামী কয়লা পাচার বা কয়লা সংক্রান্ত বিষয়ে জড়িত থাকতে পারে। সুশান্ত গোস্বামী কয়লা মাফিয়া নারায়ণ খড়কার অফিসে কাজ করে কিনা সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে ইডি আধিকারিকরা।আসানসোল মহকুমার কুলটি থানার চৌরঙ্গী ফাঁড়ি এলাকার ডুবুরদিহি চেকপোস্টের কাছে পার্কিং লটের কাছে একটি কয়লা সিন্ডিকেটের অফিস রয়েছে। সেই অফিসেও অভিযান চালানো হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহ ইডি আধিকারিকরা এদিন সকাল থেকেই সেই অফিসে ছিলেন। অফিসের সমস্ত কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি, আর্থিক লেনদেন এবং ডিজিটাল প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বাড়ি এবং অফিসেও অভিযান চলছে।এদিকে, ইডির অন্য একটি দল এদিন সকালে দুর্গাপুরের পাণ্ডবেশ্বর এলাকায়ও তল্লাশি শুরু করেছে। পাণ্ডবেশ্বরের খোট্টাডিহি গ্রামের ডোনা পাড়ায় যুধিষ্ঠির ঘোষের বাড়িতে ভোর ৫টা থেকে অভিযান চলছে। বাড়ির বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা মোতায়েন রয়েছে।সূত্রের খবর, যুধিষ্ঠির ঘোষ আগে অবৈধ কয়লা ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত একটি মামলায় জেল খেটেছেন। বর্তমানে সে জামিনে আছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে তিনি অজয় নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন এবং পাচারের সাথে জড়িত। এলাকায় জল্পনা চলছে যে এদিনের এই ইডির এই অভিযান কয়লা এবং বালি পাচার উভয়ের সাথেই যুক্ত থাকতে পারে। কলকাতাতেও বেশ কয়েকটি জায়গায় এই সূত্রে ইডির অভিযান চলছে।
ইডি আধিকারিক সূত্রে জানা গেছে, এদিনের এই অভিযান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে (পিএমএলএ) চলা মামলার তদন্তের একটা অংশ। অবৈধ খনন এবং কালো টাকা পাচারের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্য নথি এবং ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সকাল সাড়ে এগারোটার শেষ খবর, সব জায়গাতে পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় পার হয়ে গেলেও ইডির তল্লাশি অভিযান চলছে।

