পশ্চিম বর্ধমানে চলবে স্বাস্থ্য দপ্তরের ৫ টি ” ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র”, বার্নপুরে উদ্বোধনে মেয়র ও সিএমওএইচ
বেঙ্গল মিরর, বার্নপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* ” দুয়ারে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিসেবা “। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রত্যন্ত ও পিছিয়ে পড়া এলাকায় যাবে ” মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট ( এমএমইউ) বা ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র “। একটি সুসজ্জিত এ্যাম্বুলেন্সে তৈরি করা হয়েছে এই ইউনিট বা কেন্দ্র। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় পাঁচটি এই ধরনের এ্যাম্বুলেন্স চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের এই ভাবনা। সোমবার সকালে বার্নপুরে এক অনুষ্ঠানে সরকারের পক্ষ এই ভ্রাম্যমান মোবাইল পরিষেবা যানের সূচনা হয়। ফিতে কেটে ও সবুজ পতাকা দেখিয়ে এই এ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস। এছাড়াও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।













মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমাগত মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেবার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যে বা যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তারা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য সচেতন থাকেন। তারা যে কোন জায়গায় গিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে পারেন। কিন্তু যারা পিছিয়ে পড়া এলাকায় থাকেন ও আর্থিকভাবে দুর্বল তারা সেটি পারেন না। তাদের কথা মাথায় রেখে এই ভ্রাম্যমান চিকিৎসা কেন্দ্র শুরু করা হয়েছে।জেলার সিএমওএইচ বলেন, গোটা পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই ধরনের পাঁচটি ভ্রাম্যমান চিকিৎসা কেন্দ্র চলবে।
আসানসোল পুরনিগম এলাকায় চলবে দুটি। রানিগঞ্জ ও অন্ডালের আশপাশের এলাকায় একটি চালানো হবে। এর পাশাপাশি দুর্গাপুর নগর নিগম এলাকা ও পানাগড়ে চলবে একটি করে মোট দুটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা কেন্দ্র। তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে রোগী দেখার জন্য চিকিৎসক যেমন থাকবেন, তেমন নার্স, প্যাথোলজিস্ট থাকবেন। পরিসেবা দিতে থাকবে ইসিজি ও ল্যাবের ব্যবস্থা। সবকিছুর পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি দেওয়া হবে ওষুধও।

