সমাজসেবী কৃষ্ণা প্রসাদ ২৯ নভেম্বর থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে, রাজ্য সভাপতির উপস্থিতিতে যোগদান
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* আসানসোলের সমাজসেবী কৃষ্ণা প্রসাদ মঙ্গলবার আসানসোলের ১৯ নং জাতীয় সড়কের কাল্লা মোড় এলাকায় তার আবাসিক কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন, আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে আমি আবার রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে নামছি। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষকে সাথে নিয়ে আমি আসানসোলের জিটি রোডের গীর্জা মোড়ে একটা কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপিতে যোগ দেবো। বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য সহ রাজ্য ও জেলার অনেক বড় বিজেপি নেতা সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।













কৃষ্ণ প্রসাদ এদিন আরো বলেন, তিনি সর্বদা বিজেপির সাথে ছিলাম। আমি কখনও বিজেপি ত্যাগ করিনি বা ছাড়িনি। কিছু পরিস্থিতির কারণে আমি বিজেপির হয়ে পুরোপুরি সক্রিয় হতে পারিনি। তবে আমি ২৯ নভেম্বর থেকে আবার বিজেপির হয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছি। এবার আমি আর রাজনীতি ছেড়ে কোথাও যাবো না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশজুড়ে যে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে, তা থেকে বাংলা এবং এই জেলা বঞ্চিত।
তাই আমি এই জেলার পাশাপাশি বাংলায় উন্নয়নমূলক কাজ আনার জন্য আবার বিজেপির পক্ষে সক্রিয় হতে চলেছি। আমি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে বাংলার এই অঞ্চলের উন্নয়নে কিছু করতে চাই। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে তার পুনরায় সক্রিয়তা কি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সঙ্গে সম্পর্কিত? এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিজেপির সাংগঠনিক নিয়ম এবং বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নেবে। এতে কোনও ব্যক্তির ইচ্ছার কোনও গুরুত্ব নেই।এর সাথে এদিন কৃষ্ণা প্রসাদ আগামী দিনের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই সাত দিনের ভাগবত পাঠের আয়োজন করা হচ্ছে।
যেখানে ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী, বাবা বাগেশ্বর ধাম, দেবকীনাথ ঠাকুর, প্রদীপ মিশ্ ভক্তদের সমৃদ্ধ করবেন। এর পরে, একটি বিশাল গণবিবাহের আয়োজন করা হবে। যেখানে ৫০১ জনের একসাথে বিয়ে দেওয়া হবে। যাদের বিয়ে হবে তাদের মধ্যে সকল ধর্ম ও বর্ণের ছেলেমেয়েরা থাকবেন। কারণ আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদর্শ অনুসরণ করে সবাইকে সাথে নিয়ে চলতে চাই। কৃষ্ণ প্রসাদ বলেন, এই গণবিবাহের জন্য নাম নথিভুক্তিকরণের প্রক্রিয়া আগামী বছরের ১২ জানুয়ারী থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এরপর, যদি ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা করা হয়, তাহলে এই কর্মসূচি কয়েক মাসের জন্য স্থগিত করা হবে। এরপর জুন থেকে আবার নথিভুক্তিকরণের কার্যক্রম শুরু হবে। ২৫ নভেম্বর ৫০১ জন দম্পতির গণবিবাহ অনুষ্ঠিত হবে।

