আসানসোল পুলিশের বড়সড় সাফল্য, ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস, কলকাতা থেকে গ্রেফতার চার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* প্রায় ২০০ কোটি টাকার হাতিয়ে নেওয়ার এক বড়সড় আর্থিক প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করলো আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। আসানসোল উত্তর থানার ওসি অমিত হালদার ও কন্যাপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ পার্থ প্রতিম চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিশ বাহিনী গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার রাতে প্রথমে কলকাতার এক ডেরা থেকে গ্রেফতার করে মহঃ নাদিম নামে একজনকে। এরপরে তাকে জেরা করে আরো একটি জায়গা থেকে বিজয় পন্ডিত সহ আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।













পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতরা এই চক্রের পান্ডা ।প্রসঙ্গতঃ ধৃত নাদিম সহ বাকি সবাই সাপোর্ট ইন্ডিয়া নামে এক সংস্থার কর্নধার। গরীব মানুষদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া অথবা নিজের পায়ে দাঁড় করানোর নামে টাকা আদায় করেছিলে এই প্রতারণা চক্রের মাথারা। আসানসোল সহ একাধিক রাজ্যে বড় বড় হোটেলে মিটিং করতো এই সংস্থার কর্ণধার ও তার সঙ্গীরা। বিনামূল্যে এঃ সংস্থার সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের স্কুটিও দেওয়া হয়েছিলো বলে জানা গেছে। গোটাটাই একটা চেন সিস্টেমের মাধ্যমে করা হতো। কিন্তু সময়ে টাকা কেউই ফেরত পাননি। তারপরে এই সংস্থার আসল রহস্য বেরিয়ে আসে এই নিয়ে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন প্রতারিতরা। আসানসোল উত্তর ও দক্ষিণ থানায় এই নিয়ে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছিলো। শেষে চাপে পড়ে বেশ কিছু মানুষকে চেক দেওয়া হয় বলে জানা যায়। কিন্তু সব চেকই বাউন্স করে। এরকম প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ টি চেক উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার ধৃতদেরকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়। এই মামলার তদন্ত আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে তাদেরকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য বিচারকের কাছে আবেদন করা হয়।এই প্রতারণা চক্র বাংলার পাশাপাশি ঝাড়খন্ড, অসম, উড়িষ্যা, উত্তরাখন্ড সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে বলে জানা গেছে।অবশেষে রবিবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছে প্রতারণা চক্রের মাথারা। এখন দেখার ধৃতদেরকে জেরা ও পুলিশের তদন্তে কি উঠে আসে।

