RANIGANJ-JAMURIA

দূর্নীতি ও দূর্বৃত্তায়ন নিয়ে তৃনমুল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ মহঃ সেলিমের

রানিগঞ্জে দলের বৈঠকে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও চরণ মুখার্জি : গোটা বাংলায় এখন দূর্নীতির সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে। তার সঙ্গে রয়েছে দূর্বৃত্তয়ান। তাই শুধু ইডি ও সিবিআই দিয়ে হবে না। মানুষের রাস্তায় নামতে হবে। বৃহস্পতিবার এইভাবেই রাজ্যের শাসক দল ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করার পাশাপাশি তৃনমুলের বিরুদ্ধে বাংলার মানুষদের একজোট হওয়ায় আহ্বান জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম।


এদিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহঃ সেলিম পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জের গীর্জা পাড়া দলের অফিসে আসেন। সেখানে তিনি সিপিএমের নেতাদের সঙ্গে দলের বৈঠক করেন। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই দলের জেলাস্তরের নেতাদের কি করতে হবে তারই দিক নির্দেশই দেন রাজ্য সম্পাদক। এই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়।


পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মহঃ সেলিম রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র আদিবাসীদের ভালবাসার ভান করেন। মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদেরকে নিজের মনে করেন না। উত্তরবঙ্গে গিয়ে হাতে গ্লাভস পড়ে আদিবাসীদের সাথে করমর্দন করেছিলেন। বীরসা মুন্ডার এমন মূর্তি উন্মোচন করেন, তা আদিবাসীরাই পছন্দ করেন না। এসব করে তিনি আদিবাসীদের অপমান করেছেন। মহঃ সেলিম বলেন, রাজ্যের একজন মন্ত্রী হয়ে অখিল গিরি যেভাবে দেশের রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কমেন্ট করেছেন, তা শুধু তার অপমান নয়, গোটা সমাজের অপমান। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিলো, তাকে কান ধরে মন্ত্রী সভা বার করে দেওয়া। তা তিনি না করে আদিবাসীদের ভোট গুরুত্বপূর্ণ বলেই তড়িঘড়ি জঙ্গলমহলে ছুটে গেছেন।


তিনি বলেন, এখন বাংলায় দুর্নীতিবাজদের আধিপত্য। তৃনমুল কংগ্রেসের উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত। মহঃ সেলিম অভিযোগ করে বলেন যে বিজেপি ও আরএসএসের সঙ্গে সেটিং করে মুখ্যমনন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নিজের ভাইপোকে গরু ও কয়লা পাচার মামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। অন্যদিকে যুবরাজ নিজের শ্যালিকাকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই কারণে কখনও কখনও সিবিআই ও ইডি তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী ও নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত করা নিয়ে শিথিলতা দেখাচ্ছে। তবে বামপন্থীরা এমনটি হতে দেবে না। জেলায় জেলায় গিয়ে মানুষকে সচেতন করা হবে যাতে মানুষ এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *