Bengali News

সাইবার অপরাধের আন্তঃরাজ্য চক্রের হদিশ / ১ তরুণী সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করলো আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ / উদ্ধার ১৯টি মোবাইল, নগদ সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা, চারটি গাড়ি

 আসানসোল মিরর, ১৩ নভেম্বরঃ সাইবার অপরাধের এক বড় ধরনের আন্তঃরাজ্য চক্রর হদিশ পেলো আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ। গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ মুম্বাইয়ের গুরগাঁও, বিহারের পাটনা, পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের নিয়ামতপুর ও দূর্গাপুরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১ তরুণী সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এডিসিপি ( সেন্ট্রাল) সায়ক দাস এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ধৃতদের মধ্যে তরুণী আরতি গুপ্তা আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুরের বাসিন্দা। এছাড়া ২ মুম্বাইয়ে গুরগাঁও, ১ জন বিহারের পাটনা ও বাকিরা দূর্গাপুরের বাসিন্দা। এই চক্রের চারজন হচ্ছে মূল চাঁই। তাদের ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলো পাটনার রাজা রাম, দূর্গাপুরের সঞ্জয় কুমার ও গুরগাঁওয়ের পুনীত কুমার এবং রোহিয়াস্ত্র বেহওয়ারা। ধৃতদের কাছ থেকে ১৯ টি মোবাইল ফোন, নগদ ১৬ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা, দুটো অত্যাধুনিক দামী মোটর সাইকেল, দুটো গাড়ি, একাধিক ল্যাপটপ, নকল সিমকার্ড ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের আসানসোল আদালতে তোলা হলো পুলিশের আবেদন মতো বিচারক  জামিন নাকচ করে ৮ জনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেন। বাকি ৪ জনের জেল হেফাজত হয়। 
পুলিশ প্রাথমিক  তদন্ত ও ধৃতদের জেরা করে জানতে পারে যে, এরা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের মুলতঃ টার্গেট করতো। তাদের ফোন নম্বর নিয়ে এরা ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের নাম করে ফোন করতো। পরে নানা কৌশলে গ্রাহকদের এটিএম কার্ডের পিন নম্বর জেনে ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো। গত ২৫ অক্টোবর পুলিশ একটি সুয়োমটো অভিযোগ থেকে তদন্ত করা শুরু করে। এরপরে আরো তিনটি এটিএম প্রতারণার অভিযোগ আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের সাইবার থানায় জমা পড়ে। তারপরই বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ অভিযান চালায়। একে একে ধরা পড়ে অপরাধীরা। এডিসিপি ( সেন্ট্রাল)  আরো বলেন, এই চক্রে আরো কেউ আছে কিনা তা জানতে ধৃতদের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *