Bengali News

পেঁয়াজের দাম খতিয়ে দেখতে যদুবাবু বাজারে হানা মুখ্যমন্ত্রীর; কলকাতায় রেশনে মিলবে পেঁয়াজ প্রতি পরিবার ৫৯ টাকা/ কেজি

কলকাতা, ৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৯, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : 
মধ্যবিত্তের হেঁসেলে এখন সবচাইতে দামী আনাজের মধ্যে বর্তমানে পেয়াঁজ। পেয়াঁজের অগ্নিমূল্য ইতিমধ্যেই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে আমজনতার সঙ্গে রাজ্য সরকারের। ইতিমধ্যেই কলকাতার খুচরো বাজারে পেয়াঁজ ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও বেশ চড়া। আর এই মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সটান হাজির হন ভবানীপুরে   যদুবাবু বাজারে।

    খড়গপুর যাবার পথে মুখ্যমন্ত্রী হঠাৎই  যদুবাবু বাজার পরিদর্শন করেন। বিক্রেতাদের জিজ্ঞেস করেন, তারা কেনো এতো দাম পেঁয়াজ বিক্রি করছেন?পাইকারি বাজার থেকে কত দাম দিয়ে পেঁয়াজ তারা কিনছেন? কোথা থেকে তারা এই পেঁয়াজ বাজারে নিয়ে আসেন?
 বাজারে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” কাল থেকে এই আলকার রেশন দোকানে কেজি প্রতি ৫৯ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হবে।আপনাদেরও দাম কমাতে হবে।” এদিন মুখ্যমন্ত্রী খড়গপুরে গিয়ে বলেন, ” আমরাই একমাত্র রাজ্য যেখানে ৫০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে    
পেঁয়াজ রেশন দোকানে বিক্রি হবে।
বস্তুত উল্লেখ্য ,পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য ঠেকাতে ভর্তুকি দিয়ে রেশন দোকানে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্র মারফত খবর, আজ থেকেই সেই ভর্তুকি যুক্ত পেঁয়াজ মিলবে রেশন দোকানগুলিতে। শহরের মোট ৯৩৫ টি রেশন দোকানে তো বটেই এর সঙ্গে আবার ৪০৫ টি খাদ্য সাথিকে এই ভর্তুকি যুক্ত পেঁয়াজ বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
     খাদ্যসাথিতে পেঁয়াজ বিক্রির জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোকে কাজে লাগানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী, রেশন থেকে কেজি প্রতি ৫৯ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে পাওয়া যাবে। পরিবার পিছু এক কেজি করে পেঁয়াজ রেশন থেকে বরাদ্দ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
   পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যের জেরে এই শীতকালে বাঙালির রসনা তৃপ্তির যাবতীয় আয়োজন পেঁয়াজ ছাড়াই সেরে ফেলতে হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই। তবে কবে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সে বিষয়ে কিছুটা আশার বাণী শুনিয়েছেন রাজ্য সরকার গঠিত বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রক টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলে। তিনি বলেছেন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত একই পরিস্থিতি বহাল থাকবে। এর পর থেকেই  পেঁয়াজের যোগান বাড়লেই আস্তে আস্তে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আপাতত রবীন্দ্রনাথ বাবুর কথার রেশ ধরে আপামর পশ্চিমবঙ্গবাসী  এবং সংবাদমাধ্যম অপেক্ষায় রইল আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *