পশ্চিম বর্ধমান জেলা বইমেলার উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক; সঙ্গে উপস্থিত জেলা সভাধিপতি, এ ডি এম প্রমুখ
আসানসোল, ১৫ ই ডিসেম্বর ২০১৯, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত:
গতকাল শনিবার আসানসোলের পোলো গ্রাউন্ডে শুরু হলো সরকারি বই মেলা।এই বার সরকারি বইমেলার তৃতীয় বর্ষ । এই উপলক্ষে গতকাল দুপুরে আসানসোল আদালত চত্বরে গান্ধী মূর্তি থেকে একটা পদযাত্রা বার করা হয়, পোলো গ্রাউন্ডে বইমেলায় গিয়ে পদযাত্রা শেষ হয়। সেই পদযাত্রায় বই প্রেমী মানুষের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন স্কুলের বহু ছাত্রছাত্রীদের অংশ নিতে দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের আইন এবং শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে সরকারি বই মেলার শুভারম্ভ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ ডি এম শ্রী প্রশান্ত মন্ডল, জেলা সভাধিপতি সুভদ্রা বাউড়ী, জেলি পরিষদের কর্মধ্যক্ষা শিক্ষা বকুল মন্ডল, প্রাক্তন সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, কাউন্সিলর গুরুদাস চ্যাটার্জী, আলপনা ব্যানার্জি, শ্রাবনি মন্ডল সহ বিভিন্ন সরকারী আধিকারিকরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, ” বর্তমানে ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ প্রভৃতি সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সবাই ভেবেছিলন বই পড়া বোধহয় বন্ধ হয়ে যাবে কিন্তু সবার এই ধারণা ভুল প্রমানিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত সরকারি বই মেলার বই বিক্রির ক্রমবর্ধমান উন্নতি দেখে। গত বছর এই মেলায় প্রায় এক কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছিল। এই ইলেকট্রনিক যুগেও এখনও অনেক মানুষ আছেন যাদের রাত্রে শুতে যাবার আগে বইয়ের দুচার পাতা না পড়লে ঘুম আসে না, সেই রকম যতই ইলেকট্রনিক মিডিয়া আসুক প্রিন্ট মিডিয়া থাকবে। সরকারি বই মেলাতে ৮০ টা স্টলে বিভিন্ন নামি প্রকাশক তাদের বই নিয়ে এসেছেন।”
এদিন এ ডি এম প্রশান্ত মন্ডল বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর ছোটবেলার সময়ের স্মৃতিচারণ করার সময় বলেন যে, ষষ্ট বা সপ্তম শ্রেণীতে রেডিও শোনার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান আহরণের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ে, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই কিনে পরে ফেলেছিলেন এবং খবরের কাগজের খুঁটিনাটি খবর পড়া ছিল নেশা।
বইমেলার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন মেলা কতৃপক্ষ। এই মেলা চলবে আগামী ২০ শে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত।