নতুন করে জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে ভর্তি আরো ৬ / লক ডাউনে আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে কড়াকড়ি / বাড়লো পুলিশের নজরদারিও
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১১ এপ্রিলঃ আসানসোল শহরের রেলপার ও হটন রোড এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই বৃদ্ধর মৃত্যু হয়। যারমধ্যে রেলপারের বাসিন্দা মৃত পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক বৃদ্ধ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে দূর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তরকে।
বৃদ্ধর রিপোর্ট কেন্দ্র সরকারের অনুমোদন পাওয়া কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের বলে দূর্গাপুরের ঐ হাসপাতাল কতৃপক্ষ দাবি করে। হটন রোডের বৃদ্ধর মৃত্যু করোনা ভাইরাসের জন্য লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানোর আগেই আসানসোল জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে মৃত্যু হয়। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসন জানিয়েছে, মৃত দুজনের রিপোর্ট রাজ্য সরকারের ঠিক করা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দল আবারো পরীক্ষা করে জানাবে।
যদিও, তার আগেই, শনিবার দুপুরের পর থেকে আসানসোল শহর তথা শিল্পাঞ্চল জুড়ে লক ডাউন কার্যকর করতে কড়া হয়েছে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। আসানসোল উত্তর থানার রেলপার এলাকা সহ আশপাশের এলাকা, জিটি রোড, হটন রোড, এসবি গরাই রোড, ভগৎ সিং মোড়, বার্ণপুর রোড সহ শিল্পাঞ্চলের একাধিক এলাকায় পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে কমব্যাট ফোর্সও। পথচলতি হেঁটে যাতায়াত করা মানুষদের প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে পুলিশ মানা করছে। মোটরবাইক ও চারচাকা গাড়ি দেখলেই পুলিশ আটকাচ্ছে। গাড়ি তল্লাশি করে, রাস্তায় বেরোনোর কারণ পুলিশ জানতে চাইছে। গাড়ির চালক ও যাত্রীরা যথাযথ কারণ বলতে না পারলে, পুলিশ গাড়ি আটক করছে। পুলিশের এক আধিকারিক এদিন বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার জন্য নয়। লক ডাউন যাতে মানুষ ভালোভাবে মেনে চলেন, তারজন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আসানসোল জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে নতুন করে আরো ৬ জন গত ২৪ ঘন্টায় ( শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর) ভর্তি হয়েছেন। যারমধ্যে ৩ জন মহিলা। এরা আসানসোল, বার্ণপুর, কুলটি সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। জ্বর ও কাশির মতো বিভিন্ন উপসর্গ থাকায় এদের লালারস পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠানো হবে বলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ এদিন জানায়। অন্যদিকে, জেলা হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিক ও এমারজেন্সি বিভাগের হেল্প ডেস্কে শতাধিক মানুষকে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। ★★