ASANSOL-BURNPUR

আসানসোল করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশনের থেকে বাল বোধন হাইস্কুলে মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরন; উপস্থিত মন্ত্রী মলয় ঘটক ও এম এম আই সি অভিজিৎ ঘটকের আসানসোলের সাংসদকে করোনা পরিস্থিতিতে অনুপস্থিতি নিয়ে তীব্র কটাক্ষ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, ২৬ শে মে, ২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: 
দেশে করোনা পরিস্থিতিতে চতুর্থ দফার লক ডাউন শুরু হয়েছে। গতকাল ঈদের দিনেও সেরকম আড়ম্বর দেখতে পাওয়া যায়নি
 করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রোজ বেড়ে চলেছে। যদিও অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। পশ্চিম বর্ধমান এখনও অরেঞ্জ জোনে রয়েছে। সাধারণ মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের সঙ্গে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের রুজি – রুটি প্রায় বন্ধের মুখে ।

 এই পরিস্থিতিতে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এবং গরীব মানুষ  যাতে অনাহারে না থাকে, সেজন্য প্রতিদিন সাহায্য করে চলেছে আসানসোল করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের ”  রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশন “। 
গত পরশু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোলে করপোরেশনের এম এম আই সি অভিজিৎ ঘটক এবং ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সি কে রেশমার উপস্থিতিতে সংস্থার পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রেলপারে ও  চাঁদমারির কাছে বাল বোধন হাইস্কুলের মাঠে  প্রায় ১২০০ জন মানুষকে খাদ্যসামগ্রীর কিট বিতরন করা হয়।

খাদ্যসামগ্রী বিতরন করার ফাঁকে শ্রম ও আইনমন্ত্রী এবং আসানসোল উত্তর বিধানসভার বিধায়ক মলয় ঘটক বলেন, “রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশন কিছুদিন অন্তর খাদ্যসামগ্রী বিতরন করছে। প্রথমদিন থেকেই এই সংস্থা বহু গরীব, মজদুর এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরন করে চলেছে। ভবিষ্যতে আসানসোলের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যাতে একই রকম ভাবে মানুষের সেবা করতে পারেন এই সংস্থা তারই আশা রাখব।” সংস্থার এই কাজের ভূয়সি প্রশংসা করার সঙ্গেই সংস্থার চেয়ারপার্সন সি কে রেশমার প্রশংসা করেন মন্ত্রী।

   এছাড়া মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী লক ডাউনের প্রথম দিন থেকেই রেশন কার্ড ধারকদের ৬ মাস বিনামূল্যে রেশন দেবার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এরই সঙ্গে কোরোনা সংক্রমনের থেকে বাঁচার জন্যে বেশ কিছু উপদেশ ও বিধিনিষেধ মানুষের কাছে তুলে ধরে লক ডাউনের নীয়মাবলি পালন করার জন্য মানুষজনকে অনুরোধ করেন। 

  এদিকে আসানসোলের করপোরেশনে এম এম আই সি অভিজিৎ ঘটক বলেন,” আসানসোলের এমন ওয়ার্ড খুব কমই আছে যেখানে ১০০০-১২০০ মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এটা সত্যি প্রশংসনীয় কাজ। পাশাপাশি তিনি এলাকার মন্ত্রী এবং সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়কে এই আপদকালীন পরিস্থিতিতে অনুপস্থিতি নিয়ে কটাক্ষ করেন।”
 রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন  এবং আসানসোল মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সি কে রেশমা বলেন ,” এই খাদ্যসামগ্রী  বর্তমানে  এলাকার মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হলেও এরকম আরো খাদ্যসামগ্রী বিতরন করার পরিকল্পনা রয়েছে এলাকার মানুষের উদ্দেশ্য। কোরোনা ভাইরাসের এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে রমজান মাস চলাকালীন যাতে মানুষের পাশে থেকে তাদের প্রতি যাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায় এটাই ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য।”
  ২৩ নং ওয়ার্ড অঞ্চলের মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকে সেই লক্ষ্যে রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ। খাদ্যসামগ্রী ও রমজান কিট মানুষের মধ্যে বিতরণ এর সময় মন্ত্রী এবং  এ এম সি ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সি কে রেশমা ছাড়াও ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে  ছিলেন কল্যাণ , কেতন, কৃষ্ণা, পিন্টু , রবি, রাহুল, বিপুল, ব্যান্টি, অভিষেক, শীবাশিষ, রাজু, কবির, কৌসর , তনুজা খাতুন, সকিন এবং আরও অনেকে।
রামকৃষ্ণন ফাউন্ডেশনের পক্ষ  থেকে এই মানবিক উদ্যোগ সমাজের কাছে দৃষ্টান্তস্বরপ।
  এদিকে উল্লেখযোগ্য ভাবে মন্ত্রী মলয় ঘটক এলাকার সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে বলেন, “উনি কেবল হাওয়াই জাহাজে উড়ে বেড়ান । আসানসোলের মানুষের কোনো খোঁজ নিতে আসেন না।”  তিনি আরো বলেন, “আমাদের সাংসদ বিমানে  করে কলকাতা আসছেন । অথচ কলকাতার থেকে অনতিদূরে আসানসোলের মানুষ তাঁকে পায় না । আসানসোলের মানুষের দুঃখ-কষ্টের সময় বাবুল সুপ্রিয় তাদের পাশে থাকেন না।”
 বস্তুত: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে দেখা গিয়েছিল অন্যান্যদের সঙ্গে এলাকার সংসদ বাবুল সুপ্রীয়কে । কিন্তু তারপর আসানসোলে আসেননি বাবুল । আর এর রেশ ধরেই আক্রমণে নেমেছেন শাসক দলের নেতারা।
এই ব্যাপারে বাবুল সুপ্রিয়র কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

News Editor

Mr. Chandan | Senior News Editor Profile Mr. Chandan is a highly respected and seasoned Senior News Editor who brings over two decades (20+ years) of distinguished experience in the print media industry to the Bengal Mirror team. His extensive expertise is instrumental in upholding our commitment to quality, accuracy, and the #ThinkPositive journalistic standard.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *