জিতেন্দ্র -দাশুর ঘনিষ্ঠতা কোন তৃতীয় পক্ষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে
আসানসোল, বেঙ্গল মিরর,৬ ই জুলাই ২০২০, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত:
বেশ কয়েক মাস পরে গত রবিবার পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি এবং আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান শিবদাসন (দাশু) একসঙ্গে আসানসোল বাজারের কাছে কার্যালয়ে পৌঁছান এবং নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন।
দুই নেতার মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই বেড়ে ওঠা ঘনিষ্ঠতার কারণে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়ে গেছে।
লোকসভা ভোটের পর থেকেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব অঘোষিত তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের দলগত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। আর এই কারণেই জেলায় দলের তরফ থেকে প্রার্থী চয়ন করার প্রক্রিয়াও একপ্রকার শুরু হয়ে গেছে। এদিকে কিছুদিন আগেই ভার্চুয়াল বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী দলের বর্তমান বিধায়কদের পুনরায় টিকিট দেওয়ার কথা বলেছেন।
কিন্তু আসানসোলে লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত জামুরিয়া এবং রানীগঞ্জ এ দু’টি সিটে বিরোধী দলের বিধায়করা বর্তমানে রয়েছেন। স্বভাবতই এই দুটি সিটের টিকিট পাওয়া নিয়ে শাসক দলের অন্তরেই প্রতিযোগিতা নিশ্চিত। এই দুটি আসনের টিকিট পাওয়া নিয়ে জেলার নেতারা নিজ নিজ কূটনৈতিক মারপ্যাঁচ অব্যাহত রেখেছেন।
শিবদাসন দাশু এবং জিতেন্দ্র তিওয়ারির দূরত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দলের ভাবমূর্তির ওপর অনেকাংশেই প্রভাব পড়ছিল এবং এই দুজনের দূরত্বের সুযোগ কোন তৃতীয় পক্ষ নিয়ে চলেছিল।
কিন্তু কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে এই দুই নেতা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে অংশগ্রহণ করছেন। এর আগে দুটি সাংবাদিক বৈঠকে তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। রানীগঞ্জ এবং জামুরিয়াতেও দুজনকে একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়।
আর এরই মধ্যে রবিবার যখন জিতেন্দ্র তিওয়ারি দাশুর অফিসে আসেন তখন স্বাভাবিকভাবেই এই সমীকরণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা আবশ্যিক। আবার অন্য দিক দিয়ে দেখলে এই দুই নেতার পুনরায় একে অপরের কাছাকাছি আসা কোন তৃতীয় পক্ষের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এ বিষয়ে জেলার চেয়ারম্যান শিবদাসন দাসুকে কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “জেলা সভাপতি এবং মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি দলের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে বৈঠক করার জন্য তার অফিসে এসেছিলেন। রাজনৈতিক এবং দলগত বিষয় সম্পর্কেই আলোচনা হয়েছে এর থেকে আর বেশি কিছু নয়।”
রাজনৈতিক মহলের মতে তৃণমূল জেলা চেয়ারম্যান এই কথা বললেও এই দুই নেতার পুনরায় ঘনিষ্ঠতা কোনো নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত বহন করে সেটি বলাই বাহুল্য।