Bengali NewsCOVID 19

রানিগঞ্জের দুটি এলাকাকে কন্টাইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করলো জেলা প্রশাসন, এলাকা পরিদর্শনে জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার

বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১১ জুলাইঃ আশঙ্কা একটা ছিলোই। শেষ পর্যন্ত শনিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জের দুটি এলাকাকে কন্টাইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করলো জেলা প্রশাসন। উদ্দেশ্য, করোনার সংক্রমণ আটকানো। এদিন বিকালে আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন, আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগত সহ অন্যান্যদের নিয়ে রানিগঞ্জের যেসব এলাকায় গত তিনদিনে করোনা আক্রান্তর হদিশ পাওয়া গেছে, সেগুলি ঘুরে দেখেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি। তিনি রানিগঞ্জ এলাকায় সাধারণ মানুষের সচেতনতায় প্রচারমুলক একটি ট্যাবলোরও উদ্বোধন করে৷

পরে জেলাশাসক বলেন, রানিগঞ্জের দুটি এলাকা কুমারবাজার ও বার্ণস্ প্লটকে কন্টাইনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তা রাজ্য সরকারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কুমারবাজারের ২০টি বাড়ি ও বার্ণস্ প্লট এলাকার তিনটি বাড়িকে ব্যারিকেড করে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এইসব এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ি থেকে বেরোতে মানা করা হয়েছে। তাদের যা দরকার তা তাদের বাড়িতে পুলিশ প্রশাসন পৌঁছে দেবে। আগামী সাতদিন এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে। তারপর গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে। এই দুটি এলাকায় দুটি বাড়িতে দুজন ও তিনজন করোনায় আক্রান্ত হন। তাদের থেকে কোনভাবেই যাতে তা ছড়িয়ে না পড়ে, তারজন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কেউ ভয় পাবেননা। শরীর অসুস্থ হলে, আমাদের খবর দেবেন। আমরা সব ব্যবস্থা করবো। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ২২ জন এ্যাকটিভ করোনা রোগী আছেন। আরো ২৮ জন এমন রোগী আছেন, যাদের বাইরে থেকে আসেন।

Order

এদিন পুলিশের পক্ষ থেকে রানিগঞ্জ এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষদের মাস্ক বিতরণ করা হয়। এদিকে, রানিগঞ্জ শহরে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত দোকান ও বাজার খোলার কথা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।

আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পারিষদ দিব্যেন্দু ভগৎ বলেন , এখনো পর্যন্ত রানিগঞ্জের ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । রানিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, আসানসোল জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে গত তিনদিন ধরে ভর্তি থাকা হিরাপুর থানার বার্ণপুরের নরসিংবাঁধ এলাকার বাসিন্দা এক ব্যক্তির লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে শনিবার। তাকে এদিন বিকালে দূর্গাপুরের কোভিভ ১৯ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বার্ণপুর ইস্কো কারখানার ঠিকা কর্মী এই ব্যক্তির স্ত্রী ও ছেলেও অসুস্থ বলে জানা। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আসানসোল জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে মোট ৭ জন বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। তাদের লালারস পরীক্ষা করা হবে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *