আন্তঃরাজ্য সীমান্তে নজরদারিতে পদক্ষেপ / আসানসোলের বারাবনিতে বাংলা ঝাড়খণ্ড বর্ডারে নতুন চেকপোস্ট / বসছে সিসি ক্যামেরা
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৬ জুলাইঃ বাংলা ঝাড়খণ্ড সীমান্তে আসানসোলের বারাবনিতে অজয় নদীর সেতুর উপরে রুনাকুড়াঘাটে একটি নতুন স্থায়ী নাকা পয়েন্ট বা চেকপোস্ট তৈরি করা হলো। আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বারাবনি থানার অধীনে থাকবে এই নাকা পয়েন্টটি। সোমবার উদ্বোধন হবে এই নাকা পয়েন্টের।
বারাবনির ” রুণাকুড়াঘাট নাকা পয়েন্ট” র উদ্বোধন করবেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস।
এই সেতু বা ঘাটের একদিকে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের বারাবনি বিধানসভা। অন্যদিকে সেতুর ওপারে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের নলা বিধানসভা। পশ্চিম বর্ধমান ও জামতাড়া জেলার রুণাকুড়াঘাটের উপর দিয়ে গেছে অসম হাইওয়ে। আসানসোল বা জেলার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হলো এই সেতুর রাস্তা। পাণ্ডবেশ্বর বা ইলামবাজার সেতু কোনও কারণে বন্ধ থাকলে এই অজয়ের সেতু হলো গন্তব্যে পৌঁছানোর অন্যতম ভরসা। দুই রাজ্যের আন্তঃরাজ্য সীমান্তে এই নাকা পয়েন্টটি এতদিন স্থায়ীভাবে ছিল না। সেখানে একটি অস্থায়ী ঘর ছিল। মাঝে মাঝে ডিউটি থাকলে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়ে বারাবনি থানার পুলিশ সেখানে যেতো। ফলে এই সেতুর উপর দিয়ে যে সমস্ত ছোট বড় গাড়ি যাতায়াত করতো তাদের কোনো নজরদারি থাকতো না ।
ডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, স্থায়ী এই চেকপোস্টের মাধ্যমে আন্তঃরাজ্য সীমান্তে এবার থেকে সবসময় নজরদারি থাকবে। ২৪ ঘন্টা পুলিশ অফিসার সহ কনস্টেবল মোতায়েন থাকবে এই নাকা পয়েন্টে । সিসি ক্যামেরাও লাগানো থাকছে এই নাকা পয়েন্টে। ফলে দুই রাজ্যের সীমান্তে অপরাধ বা যেকোন ধরনের কাজে এবার থেকে নিয়ন্ত্রণ আনা অনেকটাই সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি আসার পর বারাবনির রুণাকুড়া ঘাটের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষ করে ভিন রাজ্য থেকে আসা মালদা, মূর্শিদাবাদ ও বীরভূমের পরিযায়ী শ্রমিকদের নথি সংগ্রহ করা থেকে গাড়ি তল্লাশি শুরু হয় এই সেতুর উপর। সেখানে স্থায়ীভাবে নাকা পয়েন্ট হওয়ায় নজরদারির সঙ্গে নিরাপত্তাও বাড়ালো আশপাশের এলাকায় বলে পুলিশ কর্তারা মনে করছেন।