আসানসোল জেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মী পরিবারের ৬ জন করোনায় আক্রান্ত/ জামুড়িয়া বোরো অফিসের কর্মী সহ ৫ জনের লালারসের রিপোর্ট পজিটিভ
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ২৬ জুলাইঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলায় শনিবার রাতে করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৬০০ পার করলো। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৬২৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ( শুক্রবার রাত থেকে শনিবার রাত) নতুন করে ৫৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। জেলায় করোনা রোগ মুক্ত হয়ে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরছেন ২৯০ জন। এই মুহুর্তে জেলায় এ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৩৩১ জন। ৪০০ বেডের দূর্গাপুরের কোভিড ১৯ হাসপাতালে এই মুহূর্তে ১৫০ জনেরও বেশী চিকিৎসার জন্য ভর্তি রয়েছেন।
আসানসোল জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে এদিন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ১৪ জন ভর্তি রয়েছেন। জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা ৩৬। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রয়োজনে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তারজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা রয়েছে। জেলা হাসপাতালের ট্রুনেট মেশিনের শনিবার রাত পর্যন্ত ১০০৫ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, আসানসোল জেলা হাসপাতালের কর্মী আবাসনের বাসিন্দা জেলা সিএমওএইচ অফিসের এক কর্মী আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় ঐ কর্মীর পরিবারের আরো ৫ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে একজন জেলা হাসপাতালের স্থায়ী কর্মী। দুজন অস্থায়ী কর্মী হিসাবে জেলা হাসপাতালে কাজ করেন।
তবে আক্রান্তরা যে আবাসনে থাকেন, তার আশপাশের আবাসনে থাকা অন্য কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রত্যকেরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তবে একসঙ্গে একটা পরিবারের সদস্যরা করোনা আক্রান্ত হওয়ায় জেলা হাসপাতালের কর্মী মহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে জেলা হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আসানসোল পুরনিগমের জামুড়িয়া বোরো অফিসের এক কর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি জামুড়িয়ার বাসিন্দা। অন্যদিকে, জামুড়িয়ার এক এ্যাম্বুলেন্স চালক সহ আরো চারজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সোমবার জামুড়িয়া বরো অফিসের বেশ কয়েকজন কর্মীর লালারস পরীক্ষা করা হবে।
রবিবার বিকালে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজি বলেন, জেলার করোনা পরিস্থিতির দিকে সবসময় নজর রাখা হয়েছে। সময়ে সময়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।