জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে দুজনের মৃত্যু
বেঙ্গল মিরর, রাজা বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল, ১ আগষ্টঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফে আসানসোলের মহকুমাশাসক দেবজিৎ গাঙ্গুলির জারি করা গত ২০ জুলাইয়ের নির্দেশিকার মেয়াদ ৩১ জুলাই শুক্রবার শেষ হয়েছে। এর ফলে আসানসোল মহকুমার ৭টি থানার ৬৭ টি বাজার ও পাড়া বা এলাকার দোকান খোলায় আর কোন বিধিনিষেধ রইলো না। তাই শনিবার থেকে রাজ্য সরকারের পুরনো নির্দেশ মতো দোকান ও বাজার খোলা শুরু হলো আসানসোলে। শুক্রবার রাতে এই মর্মে আসানসোলের মহকুমাশাসক নতুন করে একটি নির্দেশিকাও জারি করেছেন৷
এদিকে, চিকিৎসায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানিগঞ্জ থানার ২২ জন পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ার। তবে তারা আপাততঃ স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মতো হোম কোয়ারান্টাইনে থাকবেন৷
অন্যদিকে, আসানসোল জেলা হাসপাতালের আইসোলেশান ওয়ার্ডে করোনা সন্দেহে ভর্তি থাকা দুজনের মৃত্যু হয় শনিবার সকালে। তাদের মধ্যে হিরাপুর থানার বার্ণপুরের বাসিন্দা বছর ৫৫ এর মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জামুড়িয়ার বাসিন্দা মৃত অন্যজনের লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। এছাড়াও শুক্রবার ও শনিবার আসানসোল জেলা হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা করাতে আসা ২৫ জনের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে একজন আসানসোল গ্রামের বাসিন্দা এক ঔষধ ব্যবসায়ী আছেন। তার আসানসোলের রাহা লেনে হোলসেলের দোকান আছে। স্বাভাবিকভাবেই ঐ এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ২৫ জনের লালারসের নমুনা নেওয়ার পরে তাদেরকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিলো। রিপোর্ট আসার পরে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের রোগী সহায়তা কেন্দ্রের এক কর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ঐ কেন্দ্রের অন্যসব কর্মীর লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানা গেছে। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় শুক্রবার রাতেই করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৮০০ পার করেছে । শুক্রবার রাতে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই মুহূর্তে জেলায় করোনা আক্রান্তর সংখ্যা ৮০৮ জন। এখনো পর্যন্ত পশ্চিম বর্ধমান জেলায় করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫২৩ জন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে এই মুহূর্তে জেলায় এ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২৭৬ জন।