মনের অহংকার শেষ করার জায়গা হলো ভগবানের দরবার: জিতেন্দ্র তিওয়ারি

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, পান্ডবেশ্বরঃ পান্ডবেশ্বর বিধান সভা এলাকার ছোড়ার শঙ্করপুর ক্যান্টিনের কাছে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধন মঙ্গলবার করেন বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। সেখানে যঞ্জের শুভারম্ভ করেন বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। এদিন তিনি ঘোষণা করেন যে, মন্দির তৈরীর জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন , গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিদের উপর যতটা অধিকার তাকে সমর্থন করা মানুষ দের থাকে, একই অধিকার বিরোধী দেরও থাকে। যারা আমাকে সমর্থন করেছেন, আর যারা করেননি, আমার বিরোধিতা করেছেন, তাদেরও আমি বিধায়ক। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ঠিক রাখা আমাদের সবার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তিনি আরো বলেন, গত সাড়ে চার বছরে যত কাজ করেছি, তা কতটা ঠিক ও কতটা ভুল তার ফয়সালা পান্ডবেশ্বরের মানুষেরা করবেন। কিন্তু এই সাড়ে চার বছরে একটা কাজ তো নিশ্চয় হয়েছে। তা হলো আমরা পান্ডবেশ্বরের পরিবেশ পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছি। আমরা এই এলাকার মানুষ দের আতঙ্ক থেকে মুক্তি দেওয়ার পুরো চেষ্টা করেছি। রাজনৈতিক ভাবে বিরোধিতা আছে ঠিকই। তবে তার মধ্যেও পান্ডবেশ্বরের উন্নয়নে সবাই এক। তিনি আরো বলেন, ভগবানের মন্দির তৈরী করার ক্ষমতা মানুষের থাকেনা। ভগবান তা আমাদের মাধ্যমে তৈরি করিয়ে নেন৷ ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, তার দয়া সবার উপর যেন থাকে। সবাই যেন সুখে শান্তিতে থাকেন। অন্যদিকে পান্ডবেশ্বর বিধান সভার হরিপুরের রামজানকি মন্দিরে মঙ্গলবার জন্মাষ্টমী উৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারির নেতৃত্বে পুজো অর্চনা করা হয়। বিধায়ক মন্দিরে পুজো করার পাশাপাশি, আশীর্বাদ নেন ও আরতি করেন। বিধায়ককে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সম্মানিত করা হয়। বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি সবাইকে জন্মাষ্টমীর শুভকামনা জানান ও সবাইকে ভালো রাখার জন্য মঙ্গল কামনা করেন। আর একটি অনুষ্ঠানে সিমেন্ট ধাওড়া, মন্দারবনি কোলিয়ারি ও গোগলায় মঙ্গলবার জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধন করেন পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি। এখানে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিধায়ক জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, আপনারা যে ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন, তাতে ভগবান আমাকে এতটাই শক্তি দিক, যাতে আমি সব সময় আপনাদের হয়ে থাকতে পারি। জীবনে মাঝে মধ্যে ভালো অনুভূতির স্বাদ নেওয়ার সুযোগ থাকে, তেমনিই মাঝে মধ্যে কঠিন পরিস্থিতিও আসে। জীবনে না চাইলে কিছু ভালো, ও কিছু খারাপ হয়। সব পরিস্থিতিতেও পারিবারিক সম্পর্কে ভাঙ্গন আসা উচিত নয়। পরিবারের মতো করে থাকলে, যে কোন বড় বিপত্তির মুখোমুখি হওয়া যায়। এখানে এসে আমার নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে গেলো। আপনাদের আশীর্বাদ ও মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আশীর্বাদে আমি বিধায়ক হয়েছি। যারা আমাকে সমর্থন করেছেন বা আমার বিরোধিতা করেছেন, সবার আমি বিধায়ক। সবার কাছে আমার অনুরোধ, যারা আমার বিরোধিতা করেছেন সবাই আমার কাছে আসুন। আমার সঙ্গে কোন কিছু না ভেবে সম্পর্ক করুন। গনতান্ত্রিক ব্যবস্থা রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। যারা আমাকে পছন্দ করেন না, আমার চেষ্টা হবে, তারাও যেন আমার কাছে চলে আসেন। ভগবানের কাছে এসে সবার অহঙ্কার ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। সবাই ভগবানের সন্তান। কেউ বড় বা ছোট নয়। আমাদের মনের অহংকার শেষ করার জায়গা হলো ভগবানের দরবার।
