জেলায় “আসিম্পটোমাটিক” বা লক্ষনবিহীন রোগী এবং কম উপসর্গ যুক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য তৈরী হল ৫ টি “সেফ হোম”
বেঙ্গল মিরর,সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল ,১২ ই আগস্ট,২০২০ :পশ্চিম বর্ধমান জেলায় করোনার গ্রাস অব্যাহত। যদিও সুস্থতার হার আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই “আসিম্পটোমাটিক” বা লক্ষনবিহীন রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলার কারণে
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের গাইডলাইন মেনে “সেফ হোম” তৈরি করা হয়েছে।
এই সেফ হোমে যারা “আসিম্পটোমাটিক” বা লক্ষনবিহীন রোগী অথবা মাইল্ড কোভিড-১৯ বা কম উপসর্গ যুক্ত রোগীকে রাখা হচ্ছে।
এই মর্মে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলাশাসক একটি নির্দেশিকা জারি করে বলেছেন জেলায় আপাতত মোট পাঁচটি সেফ হোম তৈরী করা হয়েছে।
১) ৫০ শয্যা বিশিষ্ট ‘ডিএসপি হাসপাতাল” (দুর্গাপুর), ২)৭৫ শয্যা বিশিষ্ট “বোকারো হোস্টেল”( দুর্গাপুর), ৩)৮০ শয্যা বিশিষ্ট “ইএসআই নার্সিং কলেজ এন্ড হোস্টেল”,( আসানসোল), ৪) ৬০ শয্যা বিশিষ্ট ইস্টার্ন রেলের “সুভাষ ইনস্টিটিউট'” ,( আসানসোল), ৫) ৪০ শয্যা বিশিষ্ট “আসানসোল ইন”(আসানসোল)।
দিন কয়েক আগে আসানসোলের কাছে বার্নপুর ইসকো হাসপাতালের দুই ঠিকা শ্রমিক করোনা পজিটিভ হবার পর পাড়ার লোকের আপত্তির কারনে নিজেদের বাড়িতে ডাক্তারের উপদেশ অনুযায়ী হোম কোয়ারানটাইনে থাকতে না পেরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনের তরফে এই ‘সেফ হোমের” উদ্যোগ আরো বেশি করে নেওয়া হয়।
এই সেফ হোমে হাসপাতালের বদলে ওই লক্ষণবিহীন আক্রান্তদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। মেডিকেল গাইডলাইন মেনে চলে সেফ হোম স্যানিটাইজ করা হচ্ছে দিনে বেশ কয়েক দফায়। রোগীদের নিয়মিত পুষ্টিযুক্ত খাবার, ওষুধ দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের শারীরিক অবস্থা মনিটর করা হচ্ছে। ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রনে আনতে সব রকম প্রয়াস জারী রয়েছে । নিঃসন্দেহে এই “সেফ-হোম” করোনা আবহে জেলা প্রশাসনের তরফে যথেষ্ট ইতিবাচক পদক্ষেপ।
এদিকে ১২ ই আগস্ট প্রকাশিত ১১ ই আগস্ট পর্যন্ত আপডেট করা রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ৫৯ জন মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন । আর এর পরেই জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হয়ে দাঁড়াল ১৮৫৮ জন। এদিকে জেলায় ১২২ জন করোনা পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। জেলাতে মোট সক্রিয় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬৫৪ এবং মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১১৮৮। এদিকে মোট করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির সংখ্যাটা বর্তমানে ১৬ ।