ASANSOLASANSOL-BURNPURBARABANI-SALANPUR-CHITTARANJANBengali NewsDURGAPURKULTI-BARAKARPANDESWAR-ANDALRANIGANJ-JAMURIAWest Bengalधर्म-अध्यात्म

প্রশাসন ও পুলিশের কাছ থেকে কোন সুস্পষ্ট নির্দেশিকা না আসার কারণে পুজো কমিটিগুলো ধন্দে

আসানসোল, বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত :
বাঙালি সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে আগামী অক্টোবর মাসের শেষের সপ্তাহে অর্থাৎ দুই মাস সময় হাতে নেই। এদিকে আনলক ডাউন চললেও করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে চলেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। যেকারনে আজ মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসককে ক্রমবর্ধমান আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু নির্দেশ দিয়েছেন।

এই করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে চিন্তার ভাঁজ জেলার পুজো উদ্যোক্তাদেরও। কারণ এখনো পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতিতে জেলার পুজো কমিটিগুলোকে পুজোর জন্য রূপরেখা তৈরির কোন নির্দেশিকা আসেনি জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ কমিশনারেট এর পক্ষ থেকে।
একারণেই পুজো উদ্যোক্তাদের সংগঠন “পশ্চিম বর্ধমান জেলা পূজা উৎসব সমন্বয় কমিটি”- র তরফ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয় গতকাল শহরের একটি হোটেলে। ওই বৈঠকে সংগঠনের সম্পাদক উৎপল রায় চৌধুরী বলেন দুর্গাপূজা দোরগোড়ায়।এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতিতে এখনো পর্যন্ত পুজোর সংগঠনগুলির কাছে প্রশাসন ও পুলিশের কাছ থেকে কোন সুস্পষ্ট নির্দেশিকা না আসার কারণে পুজো কমিটিগুলো রীতিমত ধন্দে। মূর্তি, প্যান্ডেল, অন্যান্য ব্যবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে কার্যত দিশেহারা পুজো কমিটিগুলোর সদস্যরা। তাই তাদের সংগঠনের পক্ষ দ্রুত নির্দেশিকা জারী করার কথা বলে তাদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রস্তাব সম্বলিত অনুরোধপত্র জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারকে পাঠিয়েছেন তারা ।

তাদের দেওয়া প্রস্তাবগুলি হল : ১) পারমিশন সরলীকরণ করা। গতবছরের সিপি অফিসের পারমিশন টা যাতে এই বছর গ্রাহ্য করা হয়। শুধুমাত্র ইলেকট্রিক এর পারমিশন নিলেই যাতে সেটি গ্রাহ্য হয়।
২) মূর্তি ছোট করা, ৩) প্যান্ডেল চারিদিক যাতে খোলা থাকে, ৪) মাস্ক কিওস্ক স্যানিটাইজার রাখা যায় তার ব্যবস্থা করা প্রতি প্যান্ডেলে , ৫) আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে যাতে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা যায়, ৬) রাত্রের জৌলুস কমানো, ৭) ভোগ বিতরণ বন্ধ রাখা, ৮) শোভাযাত্রা দিনের বেলায় সম্পন্ন করা, ৯) সমস্ত স্বেচ্ছাসেবক ও রক্ষীদের মাস্ক এবং গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করা, ১০) অঞ্জলীর সময় মন্ডপের থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা। মণ্ডপ ছোট হলে মণ্ডপের সামনে ফাঁকা জায়গায় অঞ্জলির ব্যবস্থা করা, ১১) পুজোর ব্যক্তিগত ডালা না নেওয়া। ডালা নেবার পরিবর্তে পুজোর ২ দিন আগে যার নামে পুজো অর্পিত হবে তার নাম, গোত্র, ঠিকানা পুজো কমিটির কাছে নথিভূক্ত করানো, ১২) তিনবার এর পরিবর্তে একবার ফুল দিয়ে পুষ্পাঞ্জলীর ব্যবস্থা এবং একসঙ্গে ১০-১৫ জনের বেশি মণ্ডপে না ঢোকা ইত্যাদি সতর্কতামূলক প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এবছর করোনা পরিস্থিতিতে চাঁদা কিভাবে তুলবেন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই প্রশ্ন করায় উৎপল রায় চৌধুরী বলেন, “এই করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে মানুষের আর্থিক অবস্থা বিচার করে প্রত্যেকটি পুজো কমিটি তাদের বাজেটে কাটছাঁট করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ অ্যাড, স্যুভেনির, ডোনেশন সবকিছুই এবছর কম আসবে এটি বাস্তব। তারা শুধু চাইছেন পুলিশ এবং প্রশাসনের তরফে এই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পুজোর নিয়মকানুন সম্বলিত নির্দেশিকা যত শীঘ্র সম্ভব প্রকাশ করা হোক।” প্রতীক্ষায় থাকলেও এখনও পর্যন্ত ওই সংগঠন পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো উত্তর পাননি।

সুতরাং সহজেই অনুমেয় যে দুর্গাপুজো এবার অন্যবারের তুলনায় অনেকটাই চাকচিক্যহীন থাকবে। এখন দেখার পুলিশ কমিশনারেট এবং জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে কত দ্রুততার সঙ্গে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব পালনের এর নিয়ম সম্বলিত নির্দেশিকা পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রকাশ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *