ASANSOLBengali News

মৃত পুত্রের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে দেবোজিত এর ফাউন্ডেশন দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা

৫০ জন গরীব ছাত্রছাত্রীকে পড়াশুনার জন্য খাতা পেন পেনসিল প্রদান করা হয়

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, আসানসোল:

দুবছর আগে আগস্ট মাসে মাত্র বারো বছর বয়সে মহীশিলার বাসিন্দা জয় বসাকের একমাত্র সন্তান দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়ে দেবোজিত বসাকের অকাল মৃত্যু ঘটে ৷ আজ তার জন্মদিন ছিল ৷ মৃত পুত্রের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে আজই মহীশিলায় নিজ বাসভবনে জয় বসাক ‘দেবোজিত এর ফাউন্ডেশন’ নামে একটি দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করলেন ৷ এই উপলক্ষ্যে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয় ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৪৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উমা শরাফ, বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা বিশ্বরঞ্জন বোস, ইষ্টার্ণ রেলওয়ে হায়ার সেকেণ্ডারী স্কুলের অধ্যক্ষ হিরন্ময় ব্যানার্জী, জহরমল জালান হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক উদাস চক্রবর্তী, রেল স্কুলের শিক্ষক ও সমাজসেবী বিশ্বনাথ মিত্র এবং সঞ্জয় কুমার সেনগুপ্ত সহ আরও অনেক সমাজসেবী ও বিশিষ্টজনেরা ৷


পবিত্র ঘন্টাধ্বণি বাজানোর মধ্য দিয়ে সংস্থাটির শুভ উদ্বোধন হবার পর জয় বসাক বলেন, মূলত যারা দুঃস্থ ছাত্রছাত্রী টাকা পয়সার অভাবে পড়তে পাচ্ছে না, তাদের বইপত্র, খাতা ইত্যাদি প্রদান করে সাহায্য করবে এই ফাউন্ডেশন ৷
কাউন্সিলর উমা শরাফ বলেন, এই ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুরু হলেও ভবিষতে তা সার্বিকভাবে সমাজের দায়বদ্ধতায় এসে পড়ে ৷


অধ্যক্ষ হিরন্ময় ব্যানার্জী বলেন, তাঁর স্কুল তাদেরই স্কুলের ছাত্রের নামাঙ্কিত এই ফাউন্ডেশনকে অবশ্যই সবরকমভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন ৷
উদাসবাবু জয় বসাককে এই মহৎ উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এতে অনেক গরীব পড়ুয়া উপকৃত হবে ৷
বিশ্বরঞ্জনবাবু এ প্রসঙ্গে জানালেন, জয়বাবু বিগতদিনেও এভাবে মানুষের পাশে থেকেছেন ৷ যার ধারাবাহিকতাকে স্তব্ধ করতে পারেনি একমাত্র সন্তানের অকাল মৃত্যুও ৷

শিক্ষক বিশ্বনাথ মিত্র জানালেন, দেবোজিৎ এর ক্লাস-টিচার হবার সুবাদে দেখেছিলেন তার এই প্রিয় ছাত্রের সুপ্ত প্রতিভা ৷ তারই পিতার উদ্যোগে তৈরী এই সংস্থার ভিতর দিয়ে দেবোজিতের মত অনেক প্রতিভা বিকশিত হবার সুযোগ পাবে ৷
এছাড়াও আরও অনেক বক্তা বক্তব্য রাখেন ৷
অনুষ্ঠান শেষে অন্তত ৫০ জন গরীব ছাত্রছাত্রীকে পড়াশুনার জন্য খাতা পেন পেনসিল প্রভৃতি এই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রদান করা হয় ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *