Bengali NewsCOVID 19DURGAPUR

রিপোর্ট নেগেটিভ, ডেথ সার্টিফিকেটে লিখে দেওয়া হল পজিটিভ

File photo

বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ, সুপারের নেতৃত্বে কমিটি তৈরী করে তদন্তের আশ্বাস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পিছু ছাড়ছেনা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের।

যে বিতর্কের কারণে হাসপাতাল সুপার দেবব্রত দাসকে সরে যেতে হয়েছিল সেই একই বিতর্কের ধারাবাহিকতা জারি রয়েছে আজও।

কোভিড আবহে এক মৃত ব্যাক্তির ডেথ সার্টিফিকেটে লিখে দেওয়া হল কোভিড পজিটিভের কথা আর যার জেরে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হল মৃতের পরিবার এমনকি খোদ প্রশাসনিক কর্তাদের।

কেন এই ভুল তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিলেও দুর্গাপুর নগর নিগমের শ্মশান বৈদ্যুতিক চুল্লি সংক্রান্ত দফতরের মেয়র পরিষদ রুমা পাড়িয়াল প্রশ্ন তুললেন কেন এত বড় ভুল করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আর যার জন্য চূড়ান্ত হয়রানি হতে হলো তাদের, নষ্ট হলো সরকারের।

চলতি মাসের তিন তারিখ কোভিড নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট আসায় বেনাচিতির এক ব্যাক্তিকে কাঁকসার মলানদীঘি বিশেষ করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

তারিখ অর্থাৎ সোমবার ঐ ব্যাক্তি সুস্থ হয়ে যাওয়ায় কোভিড হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়, রিপোর্টে ঐ হাসপাতাল থেকে লিখে দেওয়াও হয় রুগীর নমুনা পরীক্ষা নেগেটিভ।সোমবার রাতে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে রাত্রি পৌনে দশটায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ঐ ব্যাক্তিকে,

ঠিক পাঁচ মিনিট পর সিসিইউ ইউনিটে ভর্তি থাকা ঐ রুগী মারা যায়। এরপরই শুরু হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।

মলানদীঘির বিশেষ করোনা হাসপাতালের দেওয়া নেগেটিভ রিপোর্ট থাকা সত্ত্বেও মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ব্যাক্তির ডেথ সার্টিফিকেটে লিখে দেয় কোভিড পজিটিভের কথা,

এতেই বাঁধে বিপত্তি। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ মৃত ব্যাক্তিকে সৎকারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বীরভানপুর শ্মশানে। রিপোর্ট দেখা মাত্রই শ্মশানের কর্মীরা মৃতদেহ সৎকার করতে অস্বীকার করে,খবর যায় কোকওভেন থানায়, ও দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক অনির্বান কোলের কাছে।

শেষ পর্যন্ত ঐ ব্যাক্তির মৃতদেহ ফের মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ঠিক হয়েছে রাতেই সৎকার হবে মৃত ব্যাক্তির।

দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র পরিষদ রুমা পাড়িয়াল বলেন চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কেন এই সংকটময় পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এত বড় ভুল করে বসলো, অযথা হেনস্থা হতে হল তাদের।

এইদিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সহ প্রশাসনিক অধিকর্তা স্বরূপা ভট্টাচার্য্য স্বীকার করে নিয়েছেন ভুলের কথা, সুপারের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি করে পুরো ঘটনার তদন্ত হবে বলে হাসপাতালের এই আধিকারিক জানিয়েছেন।মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুল অবশ্য পড়ে শুধরে নিয়েছেন।

দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের তরফে ফের জানানো হয়েছে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সরকারের সাবধানবাণী মেনে চলার কথা।

সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় মঙ্গলবার ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে শহরে।

Leave a Reply