PTTI ছাত্রছাত্রীদের নিয়োগের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক
২৯ শে সেপ্টেম্বর বিকাশ ভবন অভিযানের ডাক WBPTTA – এর এবং বিজেপি যুব মোর্চার সঙ্গে ৬ ই অক্টোবর নবান্ন অভিযানের ডাক
বেঙ্গল মিরর, কলকাতা, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত পিটিটিআই (PTTI) ছাত্রছাত্রীদের নিয়োগের দাবিতে আগামী ২৯শে সেপ্টেম্বর বিকাশভবন অভিযানের ডাক দিল WBPTTA.




ওয়েষ্ট বেঙ্গল প্রাইমারী ট্রেন্ড টির্চাস অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি পিন্টু পাড়ুই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি- তে বলেন,
“ছাত্রছাত্রীদের লাশের উপর দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে আবার রাইটার্সে দাঁড়িয়ে প্রেস কনফারেন্স করে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বঞ্চিত পিটিটিআইদের তিন বছরে তিন ধাপে নিয়োগ করবেন।কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আদতে বাস্তবায়িত হয়নি । তাদের অভিযোগ শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির কথা স্বীকার করে নিয়ে বঞ্চিত পিটিটিআই দের লিস্ট নিয়ে ডিপার্টমেন্টে কাজ চলছে বলে ঝুলিয়ে রেখে দিলেও এখন পর্যন্ত নিয়োগ করছেন না। শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে বছরের পর বছর কাটিয়ে ২০২১ বিধানসভার ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছেন। তাই তাঁরা এই করোনা পরিস্থিতিতে বাধ্যহয়ে তীব্রতর লড়াই এ নামছেন।”
তিনি বলেন, ২৯শে সেপ্টেম্বর বিকাশভবন অভিযান কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে এবং ৬ই অক্টোবর নবান্ন অভিযানে সামিল হচ্ছেন তাঁরা।পরিস্থিতি সেরকম হলে নাকি প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
পিন্টু পাড়ুই আরো বলেন এই আন্দোলনে সামিল থাকবে
বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্যসভাপতি সৌমিত্র খাঁ ।
এছাড়া ওই আন্দোলনে সামিল থাকবেন সমস্ত চাকরি প্রার্থীরা যাদের মধ্যে রয়েছেন প্রশিক্ষিত প্রাইমারী,আপার প্রাইমারী,টেট পাশ কর্মপ্রার্থী রাও। নিজস্ব দাবি নিয়ে এই আন্দোলনে সামিল হবার অনুরোধ করা হচ্ছে বলে খবর।
কেন্দ্রে গিয়ে এই আন্দোলনগুলি সংগঠিত করুক : অশোক

এদিকে WBTPTA রাজ্য প্রেসিডেন্ট অশোক রুদ্রকে এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “ওই সংগঠন সংবাদমাধ্যমের পাতায় থাকার জন্য এবং রাজনীতি করার জন্য এই সমস্ত কর্মসূচি নিয়েছে। তৃণমূলের সরকার আসার পর যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয় নথি ও কাগজপত্র ছিল তাদেরকে অবশ্যই চাকরি দেওয়া হয়েছে। কিছু মামলা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে ফলে যতক্ষণ না ওই মামলাগুলির নিষ্পত্তি হবে ততক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তিনি এরই সঙ্গে বলেন কেন্দ্র সরকার বরং কেন্দ্রীয় শিক্ষা আইন একটু শিথিল করুক এবং যারা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবেন বলছেন তারা কেন্দ্রে গিয়ে এই আন্দোলনগুলি সংগঠিত করুক।”
এখন নজর রইল করোনা পরিস্থিতিতে ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্য প্রশাসন এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তর এ ব্যাপারে কি ভূমিকা নেয় এবং ২৯ শে সেপ্টেম্বর কি ভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হয়।