DURGAPUJA জন্য মমতার একগুচ্ছ উপহার
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজার (DURGAPUJA) জন্য একগুচ্ছ উপহারের ঘোষনা করলেন । করোনা কে পরোয়া না করে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত নিয়ম মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপূজার ডাক দেন । তিনি বলেন :
১) করোনাকে লক ডাউন করে পূজা উদযাপন করুন
২) দুর্গা পূজা কমিটিগুলিকে ৫০,০০০/- টাকা অনুদান দেওয়া হবে
৩) দুর্গাপূজা কমিটি বিদ্যুত বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবে
৪)ফায়ার ব্রিগেড, কর্পোরেশন পঞ্চায়েতে ট্যাক্স দিতে হবে না
৫) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছোট ভাবে করতে হবে।
৬)ত্রিতিয়া থেকে একাদশী পর্যন্ত রাতে পুজোতে ঘোরার অনুমতি দেওয়া হবে
৬) আশা কর্মী, সিভিক পুলিশের ১০০০/- টাকা বেতন বাড়ল
৭) রাজ্যে ৩৭০০০ পূজা অর্গানাইজার ক্লাব রয়েছে
৮) ২ রা অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজার অনুমতি দেওয়া হবে।
এদিকে পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সদর আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে কমিটিগুলোকে নিয়ে পূজো সংক্রান্ত একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকটি শুরু থেকেই পরিচালনা করেন হিরাপুর সিআই শিবনাথ পাল এবং আসানসোল মহিলা থানার ওসি নাসরিন সুলতানা। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এর পুলিশ কমিশনার সুকেশ কুমার জৈন, ডিসি সেন্ট্রাল সায়ক দাস,আই পি এস, ডিসি ট্রাফিক মিস পুষ্পা, আই পি এস, ডিসি হেডকোয়ার্টার অংশুমান সাহা, আই পি এস, ডিসি ওয়েস্ট অনামিত্র দাস,
এ ডি এম প্রশান্ত মন্ডল, পুরনিগমের সুপারিন্টে়ডিং ইন্জিনায়ার সুকোমল মন্ডল, সহ ফায়ার ব্রিগেড এবং বিদ্যুৎ দপ্তর এর আধিকারিকরা।
সেখানে পুলিশ কমিশনার সুকেশ জৈন মুখ্যমন্ত্রীর বলা নিয়মাবলীগুলো বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ায় সঙ্গে বলেন :
১)সমস্ত পূজার প্যান্ডেল গুলি চারপাশ খোলা রাখতে হবে।
২)হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক এর ব্যবহার আবশ্যিক
৩) পূজার অঞ্জলি দেওয়ার সময় দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪) বিসর্জনের সময় যত কম সম্ভব মানুষের সমাগম করতে হবে।
৫) এই বছর কোন গান বাজনার অনুষ্ঠান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬) স্বেচ্ছাসেবকদের মাস্ক এবং ফেস গার্ড পুজো কমিটিগুলোকে অবশ্যই দিয়ে রাখতে হবে।
৪) বিসর্জনের সময় পুলিশের তরফ থেকে যত পুলিশ কর্মী, সমস্ত চিকিৎসার ব্যবস্থার সঙ্গে মেডিকেল টিম বিসর্জন ঘাট গুলিতে মোতায়েন রাখা হবে।
৬) কোভিড সতর্কতামূলক প্রচার সবসময় পুজো কমিটিগুলোকে মাইকিং করতে হবে।
৭) যে সমস্ত মানুষ পুজো দেখতে আসবেন তাদের মধ্যে যাদের মাস্ক থাকবেনা পুজো কমিটি গুলোকে সেই সমস্ত ব্যক্তিদের মাস্ক পরিয়ে প্যান্ডেলে প্রবেশ করাবার ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
এছাড়া এদিন ফায়ার ব্রিগেডের এর পক্ষ থেকেও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার বিভিন্ন কলাকৌশল হাতে কলমে প্রদর্শিত হয়। পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে প্রশ্ন উত্তর পালাও চলে।